ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স টেলিফোনে কথা বলেছেন। উভয় দেশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) তারা কথা বলেন। খবর দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের।
আমিরাতের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিচালিত ডব্লিউএএম সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে ইরান এবং তার জনগণের প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংহতি প্রকাশ করেছেন।
শেখ মোহাম্মদ জোর দিয়ে বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত উত্তেজনা হ্রাস করতে এবং এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে নিবিড় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাতে জড়ানোর সমালোচনা করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার মতে, মার্কিনদের এ ধরনের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার বিরোধিতা করে তিনি এক এক্স-পোস্টে এমন মন্তব্য করেন।
বুধবার (১৮ জুন) দেওয়া পোস্টে শি লিখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ও পুলিশি কার্যক্রমে আট ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। হাজার হাজার আমেরিকান সৈন্য মারা গেছে বা গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। অন্য পক্ষে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে। মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়া (মার্কিনদের) সবচেয়ে খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল।’
এ ছাড়া ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে আলোচনা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ফোনালাপের সময় এরদোগান কূটনীতিকেই ইরানের পারমাণবিক সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় বলে মনে করেছেন।
ফোনালাপে এরদোয়ান দুই দেশের মধ্যে চলমান বিষয়ে প্রয়োজনীয় যেকোনো প্রচেষ্টা চালানোর জন্য আঙ্কারার প্রস্তুতিও ব্যক্ত করেন। এর আগে শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গেও কথা বলেন এরদোয়ান। দজনের এক ফোনালাপে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন।