ইসরায়েল যদি ইরানের ওপর পরমাণু বোমা ফেলে, তাহলে পাকিস্তান ইসরায়েলের ওপর পরমাণু হামলা চালাবে বলে জানিয়েছেন ইরানের এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা। ইরানি রেভোলিউশনারি গার্ডের জেনারেল মোহসেন রেজায়ি এমন বক্তব্য দিয়েছেন। খবর এনডিটিভির।
জেনারেল রেজায়ি বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, যদি ইসরায়েল ইরানে পরমাণু বোমা ফেলে, তাহলে তারা ইসরায়েলের ওপর পরমাণু হামলা চালাবে।’
তিনি আরও জানান, পাকিস্তান ইরানের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের শুরুতে ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টাপাল্টির পর সম্পর্ক কিছুটা খারাপ হলেও, এখন দুদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আবার বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে।
রেজায়ি দাবি করেন, ইরানের কাছে কিছু গোপন শক্তি বা সামরিক সক্ষমতা রয়েছে, যা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানকে সমর্থন জানিয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবলিশ নিউক্লিয়ার উইপনসের মতে, ইসরায়েল ও পাকিস্তান বিশ্বের ৯টি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে রয়েছে।
এ ধরনের আশ্বাস আদৌ বাস্তবসম্মত কিনা- তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করছেন। কারণ এই সংকটে অনেক দেশ জড়িত, এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব মন্তব্য কূটনৈতিক সমর্থনের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ হিসেবে নয়।
এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। তবে এক হুঁশিয়ারিতে তিনি বলেন, ‘যদি ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি এমনভাবে ঝাঁপিয়ে পড়বে, যা আগে কেউ কখনো দেখেনি।’
এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ‘ইসরায়েলের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে চিন্তা করা উচিত। তারা যেভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন করছে, তাতে শুধু এই অঞ্চল নয়, গোটা বিশ্বের জন্য বিপদের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল একটি ‘দাঙ্গাবাজ রাষ্ট্র’, যার কর্মকাণ্ড পুরো অঞ্চলকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে পারে।’