ইসরায়েল গত ২৪ ঘণ্টারও কম সময় আগে ইরানের ওপর একটি দ্বিমুখী ব্যাপক হামলা চালায়, যার লক্ষ্য ছিল দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা এবং তেহরানে সামরিক নেতৃত্বকে নিধন করা। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে একাধিক প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) সকাল পর্যন্ত ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে সাইরেন বাজতে থাকে এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় তেলআভিভ, জেরুজালেম ও তেহরানে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। খবর সিএনএনের।
ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ও বিমান ঘাঁটিতে নিক্ষেপ করেছে।
ইসরায়েল কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার দাবি করলেও বহু ভবন ধ্বংস হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইরানি হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ২ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলি হামলায় ইরানে ৭৮ জন নিহত ও ৩২০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে তেহরান।
ইসরায়েল হামাদান ও তাবরিজের দুটি বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েল বলেছে, ইরান ‘সীমা অতিক্রম করেছে’ এবং এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। ইরানও বলেছে, তাদের প্রতিশোধ আরও তীব্র হবে এবং যে কোনো দেশের ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে যারা ইসরায়েলকে রক্ষা করতে আসবে।
এরইমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে নির্ধারিত ছয় নম্বর পারমাণবিক আলোচনা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।