Close Menu
    Facebook X (Twitter) Instagram
    • About Us
    • Contact Us
    • Content Transparency
    • Editorial Policy
    • Fact Checking Policy
    Facebook X (Twitter) Instagram
    DMN Express
    Subscribe
    • Home
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • আলোচিত সংবাদ
    • ক্যাম্পাস
    • খেলা
    • বিনোদন
    DMN Express
    Home»আন্তর্জাতিক»ইসরায়েল কেন ইরানে হামলা করলো, কী পরিণতি হতে পারে?
    আন্তর্জাতিক

    ইসরায়েল কেন ইরানে হামলা করলো, কী পরিণতি হতে পারে?

    ডিএম নিউজ ডেস্কBy ডিএম নিউজ ডেস্কJune 16, 2025 5:53 PM3 Mins Read
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

    ইসরায়েল-ইরান সংঘর্ষ চতুর্থ দিনে প্রবেশ করেছে এবং উভয় পক্ষেই প্রাণহানি বাড়ছে। ইরানে অন্তত দুই শতাধিক এবং ইসরায়েলে ১০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। ইরানের ভয়াবহ প্রতিক্রিয়ার পরও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বিভিন্ন ইরানি পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলাকে ‘প্রয়োজনীয়’ বলে ব্যাখ্যা করে চলেছেন।

    ইসরায়েলি জনগণকে নানা ধরনের ব্যাখ্যা দেওয়া হলেও, এগুলোর কোনোটিই একতরফা, উসকানিমূলক হামলার প্রকৃত কারণ ব্যাখ্যা করে না।

    সরকারি ভাষ্যে বলা হয়েছে, এটি একটি ‘প্রতিরোধমূলক’ হামলা ছিল, যা ইরানের আসন্ন পারমাণবিক বোমা তৈরির হুমকাকে ঠেকাতে চালানো হয়। কিন্তু এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। হামলাটি দীর্ঘ পরিকল্পনার ফল ছিল, জরুরি আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ নয়। একটি ‘প্রতিরোধমূলক’ হামলা কেবল তখনই যৌক্তিক হয়, যদি তা জরুরি আত্মরক্ষার প্রয়োজনে হয়, কিন্তু এমন কোনো জরুরি অবস্থা দেখা যায়নি।

    ইসরায়েল দাবি করেছে, ১২ জুন প্রকাশিত আইএইএ রিপোর্টে ইরানের এনপিটি চুক্তির পুরনো লঙ্ঘনকে জরুরি হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যদিও আইএইএ নিজেও এই ব্যাখ্যাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। রিপোর্টে এমন কিছু ছিল না যা সংশ্লিষ্ট পক্ষদের জানা ছিল না।

    আরও একটি ব্যাখ্যা হচ্ছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ‘মাথাকাটা’ করা। কিন্তু গবেষক ও নীতিনির্ধারকদের মতে, ইসরায়েল এককভাবে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ধ্বংস করার সামর্থ্য রাখে না।

    যেভাবে হামলা পরিচালিত হচ্ছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, প্রকৃত লক্ষ্য ছিল না পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস। বরং সামরিক ঘাঁটি, গ্যাসক্ষেত্র, তেল ডিপো, এমনকি শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে হত্যা অভিযান চালানো হয়েছে। সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা আলী শামখানিকে হত্যার কথা শোনা যাচ্ছে, যদিও ইরানি সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তা নিশ্চিত করেনি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন বলে ধারণা করা হয়।

    শামখানিসহ অন্যদের হত্যাকাণ্ড ইসরায়েলের পরিচিত কৌশলেরই অংশ, যেখানে তারা মনে করে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হত্যা করলে পুরো প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়বে। এটি ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংলাপকে ক্ষতিগ্রস্ত করার একটি প্রচেষ্টা বলেই মনে হচ্ছে।

    আরেকটি ব্যাখ্যা হচ্ছে, ইসরায়েল ইরানে “শাসন পরিবর্তন” আনতে চায়। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরাসরি ইরানিদের “দমনমূলক শাসন থেকে মুক্তির” জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

    কিন্তু এই ধারণা যে ইরানিরা বোমা বর্ষণের মুখেও ইসরায়েলের আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিজ সরকারকে উৎখাত করবে, তা বাস্তবতাবিবর্জিত। যেমনটি গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে হামাসের বিরুদ্ধে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

    ইরানের বহু নাগরিক ইসলামী প্রজাতন্ত্রের বিরোধী হলেও, তারা নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও বিদেশি হস্তক্ষেপ থেকে স্বাধীনতাকে সর্বাগ্রে রাখে।

    তাহলে ইসরায়েল কেন এই হামলা করল?

    মূল উদ্দেশ্য ছিল নজর ঘুরিয়ে দেওয়া। গাজায় চলমান গণহত্যার অভিযানে বিশ্বজুড়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। একাধিক দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায়ও অপেক্ষমাণ।

    নেতানিয়াহু এই হামলার পরিকল্পনা বহু আগে থেকেই করে রেখেছিলেন। তিনি জানতেন, ইরানকে আক্রমণ করলে বিশ্ব আবার ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াবে। ‘নিরাপত্তা’ ও ‘হলোকস্ট’ ইত্যাদি পরিচিত কৌশল ব্যবহার করে তিনি ইসরায়েলের পুরনো অবস্থান ফেরত আনার চেষ্টা করছেন, যেখানে ইসরায়েল যা খুশি করতে পারে, কোনো জবাবদিহি ছাড়া।

    এই ‘নিরাপত্তা’ই ইসরায়েলের মূল দর্শন, যা মূলত ইহুদি আধিপত্যকে অক্ষুণ্ণ রাখার উপায়। এর মানে হলো, ইসরায়েল যাকে খুশি, যখন খুশি, যেভাবে খুশি হত্যা করতে পারে কোনো পরিণতি ছাড়াই।

    এই একই কৌশল গাজা থেকে ইয়েমেন, লেবানন, সিরিয়া এবং এখন ইরানে প্রয়োগ করা হচ্ছে। এটি একটি প্রসারমান “নিরাপত্তা ব্যবস্থা”, যার থামার কোনো সুযোগ নেই।

    নেতানিয়াহু এখন সর্বস্ব দিয়ে বাজি ধরেছেন—নিজের জন্য, ইসরায়েলের জন্য, আন্তর্জাতিক আদালত এবং ঘরোয়া রাজনীতির ময়দানে।

    প্রশ্ন হলো, এই পদক্ষেপ কি নেতানিয়াহুর রক্ষা হবে?

    বর্তমানে ইসরায়েলি জনমত নেতানিয়াহুকে সমর্থন করছে বলে মনে হচ্ছে। দোকানগুলোতে লম্বা লাইন, আতঙ্কে জরুরি প্রস্তুতি, সব মিলিয়ে ইসরায়েলি সমাজ যেন কেবল বেঁচে থাকার মোডে চলে গেছে। এভাবে একটি নিঃশব্দ, নিস্তেজ জনগোষ্ঠী নেতানিয়াহুর জন্য সুবিধাজনক হতে পারে, তবে একটি টেকসই ও ন্যায়ভিত্তিক ইসরায়েলি সমাজ গঠনের পথে এটি বড় বাধা।

    সূত্র: আলজাজিরা

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email

    Related Posts

    ইরান ইসরায়েল যুদ্ধ অবশেষে উত্তর কোরিয়া মুখ খুললো আর তুলোধুনো করলো

    June 19, 2025 8:38 AM

    ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে ভেদ করছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র?

    June 19, 2025 8:26 AM

    ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছি : ইরান

    June 19, 2025 8:13 AM
    Add A Comment
    Leave A Reply Cancel Reply

    Latest News

    ইরান ইসরায়েল যুদ্ধ অবশেষে উত্তর কোরিয়া মুখ খুললো আর তুলোধুনো করলো

    June 19, 2025 8:38 AM

    ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে ভেদ করছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র?

    June 19, 2025 8:26 AM

    ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছি : ইরান

    June 19, 2025 8:13 AM

    প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি যে আহ্বান জানাল ইরান

    June 19, 2025 8:03 AM
    Facebook X (Twitter) Instagram Pinterest Vimeo YouTube
    © 2025 DMN Express.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.