রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বহনকারী হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। এমনটাই দাবি করেছেন রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স কর্মকর্তা ইউরি দাশকিন।
রোববার (২৫ মে) আরবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাশকিন বলেন, ‘গত ২০ মে ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী রুশ প্রদেশ ক্রুস্ক সফরে গিয়েছিলেন পুতিন। পরে ওইদিনই মস্কো ফিরে আশার সময় তার হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে একের পর এক ড্রোন হামলা চালানো হয়।
তবে রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ঠিক সময়ে সেই হামলা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান এই সামরিক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘সেদিন ক্রুস্কের আকাশে ৪৬টি ড্রোন ছুড়েছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী। প্রতিটি ড্রোন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই আমরা ধ্বংস করেছি। হেলিকপ্টারের গায়ে একটি আঁচড়ও লাগেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ছিল পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত একটি হামলা এবং এর মূল লক্ষ্য বা কেন্দ্র ছিল প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার। গত ২০ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত রাজধানী মস্কোসহ বিভিন্ন শহরের সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে মোট ১ হাজার ১৭০টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করা হয়েছে প্রতিটি ড্রোন।’
এই ড্রোন হামলার পর পাল্টা জবাব দিয়েছে রুশ বাহিনী। শনি ও রোববার ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে তারা। এতে রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে মোট ১২ নিহতের খবর পাওয়া গেছে