ইসলায়েলে অভিযানে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র বৈচিত্র্যপূর্ণ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) ডেপুটি কমান্ডার ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াদোল্লাহ জাভানি। তিনি বলেন, ‘দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও আমরা নতুন ড্রোন ‘আরাশ’ ইসরায়েল অধিকৃত ভূখণ্ডের আকাশসীমায় সফলভাবে মোতায়েন করেছি।’ সোমবার (১৬ জুন) প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। ইরানের সংবাদ মাধ্যম প্রেস টিভির খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’-এর মাধ্যমে ইসরায়েলের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা তাদের প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি।’
তিনি বলেন, ‘শত্রুর প্রাথমিক আক্রমণের প্রায় ২০ ঘণ্টা পর ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’ চালানো হয়, এমন সময়ে যখন জায়নিস্ট শাসনব্যবস্থা প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতির সর্বোচ্চ স্তরে ছিল। ইরানের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় তারা সব ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছিল, এমনকি পাশের দেশের আকাশসীমাও নিরাপদ করেছিল।’
জাভানি বলেন, ‘কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যেও তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত ছিল এবং মনে করেছিল ইরানের সামরিক ও ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির ওপর হামলা চালিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ সক্ষমতা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে—ফলে ইরান ‘ট্রু প্রমিস ওয়ান ও টু’-এর মতো অভিযান চালাতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ এ ধরনের প্রকল্পাইল বা ক্ষেপণাস্ত্রের এতো বৈচিত্র্য এবং নির্ভুল ব্যবহার আগে কখনো দেখা যায়নি, যা শত্রুপক্ষকে সম্পূর্ণভাবে হতবাক করে দেয়। অভিযানটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, এমনকি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাশারও বাইরে গিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘ইরান সাহসিকতার সঙ্গে শহীদ ও আহতদের ছবি ও খবর প্রকাশ করে, কিন্তু জায়নিস্ট শাসনব্যবস্থা আসল ক্ষয়ক্ষতি, ধ্বংস ও প্রাণহানির মাত্রা গোপন করতে সামরিক বিবৃতি, গোয়েন্দা সংস্থার বুলেটিন ও বেসামরিক নাগরিকদের হুমকির মতো কৌশল অবলম্বন করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবুও অভিযানের বিশাল পরিসরের কারণে তারা নিজেদের জনগণের সামনে সীমিত কিছু তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে।’
সূত্র: প্রেস টিভি