টানা ৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি হামলা, পাল্টা হামলার পর ইরান বলছে, দখলদার বাহিনীর হামলা বন্ধ হলে, ‘আমাদের প্রতিক্রিয়াও বন্ধ হবে’। রোববার (১৫ জুন) তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, যদি তার দেশের উপর ইসরায়েলি হামলা বন্ধ হয়, তাহলে “আমাদের প্রতিক্রিয়াও বন্ধ হবে”।
শুক্রবার ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথমবারের মতো তেহরানে কূটনীতিকদের সামনে আরাগচি এই মন্তব্য করেন। তার কথায়, “আগ্রাসন বন্ধ হলে, আমাদের প্রতিক্রিয়াও বন্ধ হবে।” তবে এই বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে রোববারও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন নতুন করে ইরানে হামলার দাবি করেছে দখলদার ইসরায়েল বাহিনী। দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বাহিনী “পশ্চিম ইরানে আরও একটি আক্রমণ সম্পন্ন করেছে।” গত এক ঘণ্টায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ এবং অবকাঠামো লক্ষ্য করে এই হামলা হয়েছে বলে দাবি নেতানিয়াহুর দেশের। এই হামলার বিষয়ে ইরানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রোববার সকালে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ইরানে ইসরায়েলি হামলায় ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূপৃষ্ঠে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক এবং অন্যান্য সামরিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপকগুলোতে হামলার ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে বড় ধরনের বিস্ফোরণ এবং পরে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে। তবে এই ভিডিও স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে ইসরায়েলি হামলায় তেহরানে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর, রাজধানীর কাছে একটি তেল ডিপো এবং একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে ইসরায়েলের রাতের হামলায় হতাহতের বিষয়ে ইরান এখনও কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি।
অন্যদিকে শনিবার রাত ও রোববার ভোরে ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে অন্তত ১০ ন নিহত ও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। পাশাপাশি কয়েক ডজন বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। ইরান জানিয়েছে এই হামলায় তারা নিজেদের তৈরি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
সূত্র : আল জাজিরা