হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্টের ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে। ভারতের উত্তর প্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই দুই প্রকৌশলী হলেন, বিনীত কুমার দুবেই এবং প্রামোদ কাতিয়ার। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দন্ত চিকিৎসক পালিয়ে যাওয়ার পর সোমবার (২৬ মে) স্থানীয় একটি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এনডিটিভি
গত ৯ মে প্রকৌশলী বিনীত কুমার দুবেই’র স্ত্রী জয়া ত্রিপতি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, গত ১৩ মার্চ তার স্বামী হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করলে ১৫ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
ত্রিপতি বলেন, প্রথম পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। ফলে বিষয়টি চাপা পড়ে থাকে। পরবর্তীতে ওই নারী মুখমন্ত্রীর অভিযোগ দপ্তরে অভিযোগ জানানোর পর ৯ মে পুলিশ মামলা গ্রহণ করে।
সরকারি আইনজীবী দিলিপ সিং বলেন, দন্ত চিকিসক আনুস্কা তাইওয়ারির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। কারণ হেয়ার ট্রান্সপ্যান্টের অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও তিনি এটি করেন। পরবর্তীতে কাকাদেব পুলিশ স্টেশনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলে আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন চিকিৎসক আনুস্কা। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশের অভিযোগে বলা হয়, বিনীত কুমার দুবেই’র স্ত্রী গত ১৪ মার্চ একটি ফোন কলে তার স্বামীর মুখমণ্ডল ফুলে যাওয়ার খবর পান। পরবর্তীতে তিনি চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে আর পাওয়া যায়নি। ওই দিন রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক আনুস্কা তাইওয়ারিকে আবার কল দেয়া হয়। ওই সময়ে তিনি স্বীকার করেন যে, কোনো ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়। ত্রিপতি দাবি করেন, ডাক্তারের সঙ্গে কথপোকথনের কল রেকর্ড তার কাছে রয়েছে।
এরপর ত্রিপতি তার স্বামীকে চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে ভর্তি করালে ১৫ মার্চ তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পর থেকেই অভিযুক্ত চিকিৎসক আত্মগোপন করেন।
পুলিশের একজন সিনিয়র অফিসার জানিয়েছে, আরও একজন নারী হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্টের কারণে তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় একজন ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।