ইরানের পাল্টা হামলার পর আত্মগোপনে থাকা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গতকাল রোববার (১৫ জুন) প্রকাশ্যে দেখা গেছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের বাট ইয়ামে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি প্রকাশ্যে আসেন।
এর আগে ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ দাবি করেছিল ইসরায়েল ছেড়ে পালিয়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। চ্যানেল ১২ এ বরাত দিয়ে ইরানে সংবাদমাধ্যম ইরনাও এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের ওপর সামরিক হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গোপন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এর আগে নেতানিয়াহুর বিমানের একটি ছবি প্রকাশ করে ইসরায়েলি মিডিয়া, যেখানে দেখা যায়, তার বিমানকে দুইটি যুদ্ধবিমান নিরাপত্তা প্রদান করছে এবং সেটি ইসরায়েলি অধিকৃত অঞ্চল ছেড়ে অজানা গন্তব্যে যাচ্ছে।
পরবর্তীতে চ্যানেল ১২ জানায়, বিমানটি গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অবতরণ করেছে।
এদিকে গতকাল রোববার (১৫ জুন) ইসরায়েলের বাট ইয়ামে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বলেছেন, “নারী, শিশুসহ নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করেছে ইরান। এর জন্য তাদের ভয়াবহ মূল্য দিতে হবে। আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাব এবং শত্রুকে প্রবল শক্তিতে আঘাত করব।”
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা এখন অস্তিত্ব রক্ষার এক যুদ্ধে লিপ্ত, যা এখন প্রতিটি ইসরায়েলির কাছে স্পষ্ট। ভাবুন, যদি ইরানের হাতে পারমাণবিক বোমা থাকত, তাহলে তারা আমাদের শহরগুলোতে নিক্ষেপ করত। যদি তাদের হাতে এমন ২০ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র থাকত — তাহলে কী হতো?
তিনি আরও বলেন, “আমরা এই যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য লড়ছি এবং শক্ত হাতে প্রতিরোধ করছি। সকল ইসরায়েলি নাগরিককে অনুরোধ করব হোম ফ্রন্ট কমান্ডের নির্দেশনা মেনে চলুন। জীবন বাঁচান, নিরাপদে থাকুন — ঈশ্বরের সহায়তায় আমরা জয়ী হব।”
উল্লেখ্য, ইসরায়েল গত সপ্তাহে ইরানের পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন ইরানি সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। এরপরই ইরান এই পাল্টা হামলা চালায়। যদিও তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে, তবে ৬০ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রমকে ইসরায়েল সামরিক হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে।