ভারত বর্তমানে অর্থনৈতিক চাপে রয়েছে, বিশেষ করে ড. ইউনূসের মাস্টার স্ট্রোক মোকাবিলায় একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মোদী সরকার। তার ওপর, হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরানোর জন্য রয়েছে নানা দেশি ও বিদেশি চাপ। হাসিনার পরামর্শে মোদী ভেবেছিলেন বাংলাদেশে ভিসা বন্ধ করে বাংলাদেশকে চাপে রাখবে, তবে এর ফলাফল উল্টো হয়েছে—বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ করার কারণে ভারতের অর্থনীতি বিপাকেই পড়েছে। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন যে, ভিসা বন্ধের মতো পদক্ষেপের পর বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত ভারতের জন্য আরও ক্ষতিকর হতে পারে।
বর্তমানে বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের মতো ভুল সিদ্ধান্ত ভারতের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে হাজার হাজার বিদেশি বিনিয়োগকারী এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশ এখন বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পেতে চাচ্ছে, যা ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় রুপি বর্তমানে রেকর্ড দরপতনে রয়েছে, এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, মোদী সরকারের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের হাতে আসতে পারে ভিক্ষার থালা।
২০২০ সালে, ভারত বাংলাদেশকে পণ্য রপ্তানির সুবিধা দিয়েছিল, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ তার পণ্য ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলিতে রপ্তানি করতে পারছিল। তবে, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের পর, বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা সাময়িকভাবে কিছুটা চাপে পড়বেন, এমনটা জানিয়েছেন বিজিএনইএ-এর সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিমানবন্দরের সক্ষমতা কম, এবং বিকল্প ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। তবে, এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কারণ তারা বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাবে।