মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে ইসরাইল। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ইরানের রাজধানী তেহরানে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে তেলআবিব। এতে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা নিহত হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এই হামলাকে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগুনে ঘি ঢালা’। ইসরাইলের এ আগ্রাসনের নিন্দায় ফেটে পড়েছে মুসলিম বিশ্ব। পাশাপাশি পশ্চিমা বিশ্বও উদ্বেগ জানিয়ে সবাইকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাঘেরী, ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান জেনারেল হোসেন সালামী এবং অন্তত ছয়জন পারমাণবিক বিজ্ঞানী। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় শতাধিক ড্রোন হামলা চালিয়ে জবাব দিয়েছে ইরান।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ইসরাইলের এই হামলার পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান এবং ইন্দোনেশিয়া একযোগে এই হামলাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
সৌদি আরব বলেছে, “ইরানের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে। এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।”
আমিরাত বলছে, “ত্বরিত যুদ্ধবিরতি দরকার। নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা এখন চরম হুমকিতে।”
ওমান বলেছে, “বিপজ্জনক আগ্রাসন বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।”
ইন্দোনেশিয়া বলছে, “এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে অগ্নিসংযোগ ঘটাতে পারে।”
পশ্চিমাদের আহ্বান
জাতিসংঘ, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও জাপান সবাইকে সংযত থাকার ও আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের পরামর্শ দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া জানায়, “মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।”
জাপান ও নিউজিল্যান্ড বলেছে, “সামরিক পদক্ষেপ নয়, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চাই।”
ইসরাইল মুখে স্বীকার না করলেও তাদের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে—এমন ধারণা বিশ্বজুড়ে। এ কারণে ইরানও নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারমাণবিক শক্তি অর্জনে সচেষ্ট। এর মাঝেই এ হামলা পারমাণবিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।