বিশ্বের সবচেয়ে চৌকস গোয়েন্দা সংস্থা ইসরায়েলের মোসাদ। এবার সেই মোসাদের কার্যলয়েই হামলা চালিয়ে পুরো বিশ্বকে যেনো নাড়িয়ে দিলো ইরান। সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যে যুদ্ধের সূচনা করেছিলো ইসরায়েল তার খেসারত এখন কড়া গণ্ডায় দিতে হচ্ছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্যমতে, মধ্যপ্রাচ্যে যখন ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে চলছে চরম উত্তেজনা, ঠিক তখনই ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র ও মোসাদের প্রধান পরিকল্পনা কার্যালয়ে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)।
মোসাদের কার্যালয়ে এভাবে হামলা চালানো মোটেও সহজ ছিলো না আইআরজিসির জন্য। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বেশ ধৈর্যের সাথেই এই অভিযান পরিচালনা করতে হয় তাদের। আইআরজিসির দাবি আনুযায়ী, তারা বাহির-এলভে নামক উন্নতমানের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা একাধিক বাধা অতিক্রম করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। পাশাপাশি, আইআরজিসি বিশেষ ধরনের ড্রোনও ব্যবহার করেছে, যেগুলো ক্ষেপণাস্ত্রের পথচলা ও লক্ষ্য সনাক্তকরণে সহায়তা করেছে।
আইআরজিসি উচ্চমানের উচ্চগতি সম্পন্ন এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সমন্বিত আক্রমণে ইসরায়েলের তিন স্তরের বিশ্ববিখ্যাত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা “আইরন ডোম”, “ডেভিডস স্লিং” এবং “এরো সিস্টেম” কে অকার্যকরা করে ফেলে। আর ক্ষেপনাস্ত্র গুলো গিয়ে আঘাত হানে মোাসাদের কার্যলয়ে।
বিশ্বের চৌকস গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কার্যালয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যেনো রাতের ঘুম এখন হারাম করে দিলো ইরান। এমনিতেই ইরানে হামলা চালাতে গিয়ে পাল্টা হামলার খপ্পরে পড়ে পালিয়ে আত্মগোপনে থাকতে হচ্ছে তাকে। তার ওপর এবার মোসাদের অফিসে হামলা যেনো শেল হয়ে বাঁধলো কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী নেতানিয়াহুর জন্য।