Monday, July 7, 2025

জানা গেলো যে কারণে কাতারে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে ইসরায়েল

আরও পড়ুন

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে পরোক্ষ আলোচনা চালাতে একটি প্রতিনিধিদল কাতারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, হামাসের প্রস্তাবিত কিছু পরিবর্তন ইসরায়েলের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। খবর সিবিএস নিউজ।

শনিবার (৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, আজ রোববার কাতারে আলোচক দল পাঠানো হবে। এর এক দিন আগে শুক্রবার হামাস জানায়, তারা যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাধীন প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে এবং আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

হামাসের দাবি, তারা মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় দেওয়া সাম্প্রতিক প্রস্তাবের কাঠামো নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী। এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, হামাস চায়, যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল যেন ২ মার্চের পূর্ববর্তী অবস্থানে ফিরে যায় এবং ৬০ দিনের বিরতির পর স্থায়ী যুদ্ধসমাপ্তি ঘোষণা করে। তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সহায়তায় পরিচালিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ বন্ধের দাবিও জানিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  গাজা যুদ্ধে ৪৪৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার ঘোষণা করেন, ইসরায়েল দুই মাসের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তবে ইসরায়েল কিংবা হামাস, কোনো পক্ষই তখন এই বক্তব্য নিশ্চিত করেনি।

শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, এটি ইতিবাচক অগ্রগতি। আশা করি, আগামী সপ্তাহে গাজার বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। তবে প্রতিদিনই পরিস্থিতি বদলাচ্ছে।’

প্রতিবেদন অনুযায়ী, নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা প্রস্তাবের কিছু বিষয় মেনে নিলেও এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এ ছাড়া নেতানিয়াহুর সোমবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  যে কারণে হঠাৎ বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল রাজধানী তেলআবিবের রাজপথ

এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫৭ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। চলমান সংঘাতে গত কয়েক সপ্তাহে শুধু মানবিক ত্রাণ সংগ্রহের চেষ্টায় নিহত হয়েছেন আরও ৬৪০ বেসামরিক নাগরিক। এর মধ্যে ৪০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন জিএইচএফ পরিচালিত বিতরণ কেন্দ্রগুলোর কাছে।

জিএইচএফের পরিচালক জনি মুর জানান, বিতরণ কেন্দ্রের বাইরের পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলো দাবি করছে, জিএইচএফের কার্যক্রম বন্ধ করে গাজায় জাতিসংঘের নেতৃত্বে ত্রাণ কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা হোক। কিন্তু জাতিসংঘের এসব প্রচেষ্টায় ইসরায়েল মার্চ মাস থেকে বাধা দিয়ে আসছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ