Tuesday, August 26, 2025

ফেসবুক প্রোফাইল লাল করার আইডিয়া কার, জানা গেল

আরও পড়ুন

গত বছরের ২৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ নিহতদের স্মরণে সরকার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে। এ সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনকারীরা হত্যা ও নির্যাতনের শিকারদের প্রতি সহমর্মিতা ও সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে ছবি তোলার এবং ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার লাল করার কর্মসূচি ঘোষণা করে।

এই কর্মসূচির পেছনের পরিকল্পনা নিয়ে সম্প্রতি খোলামেলা কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ। তিনি বলেন, রাষ্ট্র যখন গণহত্যার পরিবর্তে নাটকীয়ভাবে রাষ্ট্রীয় শোক ও কালো পতাকা উত্তোলনের ঘোষণা দেয়, তখন আবু সাদিক কায়েম আমার কাছে পরামর্শ চান। আমি তাকে বললাম, আমরা পাল্টা কর্মসূচি দেব। তারা যেহেতু কালো বেছে নিয়েছে, আমরা লাল বেছে নিই।

আরও পড়ুনঃ  আইকনিক ৮ মসজিদ নির্মাণে ২৪৪ কোটি টাকা দেবে সৌদি আরব

ফরহাদ আরও বলেন, আইডিয়াটি শেয়ার করার পর সাদিক কায়েম বললেন, এটা কার্যকর হতে পারে। এটাই চূড়ান্ত করা হলো। আমরা একটি প্রেস রিলিজ তৈরি করে সমন্বয়কদের কাছে পাঠাই, এবং তারা এটি ঘোষণা করেন। পরের দিন দেখলাম, সমাজের সব শ্রেণির মানুষ তাদের ফেসবুক প্রোফাইল লাল করে আপডেট করছেন। এমনকি ড. ইউনূস এবং খালেদা জিয়ার ফেসবুক পেজেও লাল প্রোফাইল শেয়ার করা হয়।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, রাষ্ট্র কালো পতাকার প্রতীক বেছে নিয়েছে, তাই আমরা লাল বেছে নিলাম। লাল রক্তের প্রতীক, যা দিয়ে আমরা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে পারি। এজন্য আমরা মুখে ও চোখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ এবং ফেসবুক প্রোফাইল লাল করার কর্মসূচি ঘোষণা করি।

আরও পড়ুনঃ  এইমাএ পাওয়া: ১৫ আগস্ট থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যেসব গ্রাহকের সিম

ফরহাদ জানান, এই কর্মসূচির পেছনে বড় কারণ ছিল তখনকার পরিস্থিতি। আমরা তখন অনলাইন ও সফট কর্মসূচির ওপর নির্ভর করছিলাম। হার্ড কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে দেখা গেল, প্রচুর গ্রেপ্তার ও মামলা হচ্ছে। তাই আমরা সফট কর্মসূচির দিকে মনোযোগ দিই। লাল প্রোফাইল কর্মসূচি যখন ব্যাপক সাড়া পেল, তখন আমরা অনুপ্রাণিত হলাম এবং পরে মাঠের কর্মসূচিতে যাই। প্রায় এক সপ্তাহের সফট কর্মসূচির শেষ ধাপ ছিল এই লাল প্রোফাইল কর্মসূচি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ