Tuesday, July 8, 2025

‘আসছি, আসছি বলে সাগরে তলিয়ে গেল তিন বন্ধু’

আরও পড়ুন

কক্সবাজারের হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের তিন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম- কে এম সাদমান রহমান। তিনি ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা কে এম আনিছুর রহমানের ছেলে। নিখোঁজ দুজন হলেন- আসিফ আহমেদ ও অরিত্র হাসান। তাদের দুজনের বাড়ি বগুড়ায়। তিনজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থী।

তাদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ মিয়া বলেন, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আমরা হিমছড়ি জাদুঘর সংলগ্ন সমুদ্রসৈকতে যাই। সেখানেই ঘটে দুর্ঘটনা।

আরও পড়ুনঃ  যে কারণে আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

তিনি আরও বলেন, ছবি তোলার সময় বৃষ্টি শুরু হলে আমরা দুজন দৌড়ে ছাতার নিচে চলে এলেও বাকি তিনজন সাগরে থেকে যায়। বারবার তাদের ডাকার পরও তারা আসছি, আসছি বলতে থাকে। এমনকি মাছ ধরতে থাকা মাঝিরাও তাদের উঠে যেতে বলেছে। একপর্যায়ে তারা পানিতে তলিয়ে যায়। কিছু সময় পর সাবাবের মরদেহ তীরে ভেসে আসে। অন্য দুজনকে আর পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজার হিমছড়ি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক সোমনাথ বসু বলেন, মৃত কেএম সাদমান রহমান সাবাব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি ঢাকার মিরপুরে। সাবাবের দুই নিখোঁজ বন্ধু হলেন- অরিত্র হাসান ও আসিফ আহমেদ। আমরা সৈকতে আছি, তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুনঃ  হাসিনা-কাদেরসহ ১৫৫ জনের নামে মামলা, আসামি বিএনপি নেত্রীও

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম বলেন, সাগর এতো উত্তাল সেখানে ডুবুরি নামাও কষ্টের হয়ে গেছে। স্রোত অনেক বেশি। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।

সি-সেইফ লাইফ গার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মী মো. ওসমান বলেন, তারা যখন সমুদ্রে নামেন উত্তাল জোয়ার ছিল। দুপুর ১২টায় ভাটা হওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে লাইফ গার্ডের কর্মীরাও চেষ্টা করছে উদ্ধারের। তবে সাগর উত্তাল থাকায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।

ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী বলেন, সোমবার রাতে প্রথম বর্ষের চার শিক্ষার্থী কক্সবাজারে ঘুরতে যান। তারা নিজ উদ্যোগে সেখানে গিয়েছেন। এর মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় জেলেরা, অন্যরা এখনো নিখোঁজ।

আরও পড়ুনঃ  কী ঘটেছিল ময়নার সঙ্গে, মরদেহ কীভাবে গেল মসজিদে?

তিনি বলেন, আমরা সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের পরিবারকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের বিভাগের সিনিয়র কয়েকজন শিক্ষক কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ