Sunday, July 20, 2025

‘শাপলা’র জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে এনসিপি

আরও পড়ুন

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বর্তমান তপশিলে থাকা ৬৯টি প্রতীকের সঙ্গে নতুন আরও ৪৬টি প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে। তবে এ তালিকায় ‘শাপলা’ রাখা হয়নি। এর ফলে কোনো রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় প্রতীক হিসেবে এ মার্কা পাচ্ছে না। এ সিদ্ধান্তকে প্রহসনমূলক ও পক্ষপাতমূলক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। ইসির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে বিষয়টি রাজনৈতিক ও আইনগতভাবে লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা।

ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কমিশনের তপশিলে প্রতীক যুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কমিটি মোট ১৫০টি প্রতীক চূড়ান্ত করে। কমিশন ১৫০টির মধ্যে কাটছাঁট করে ১১৫টি প্রতীক তপশিলে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত দেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১১৫টি প্রতীক আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। এতে শাপলা নেই।

গত ২০ জুন দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে এনসিপি। তারা প্রতীকে প্রথম পছন্দ হিসেবে ‘শাপলা’ চেয়েছিল। আবেদনে পছন্দের প্রতীকের তালিকায় শাপলা ছাড়াও ‘কলম’ ও ‘মোবাইল ফোন’ রাখার কথা জানিয়েছিল দলটি। এ তিন প্রতীকের মধ্যে নতুন তালিকায় শুধু মোবাইল ফোন স্থান পেয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  গোপালগঞ্জের উদ্দেশে বরিশাল ছেড়েছেন এনসিপি নেতারা

এনসিপির নেতারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি সন্দেহজনক। কোনো পক্ষের ইন্ধনে এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারা। এখনো তারা শাপলাকেই দলীয় প্রতীক হিসেবে চান। এর জন্য যেসব করণীয়, সেসব তারা করবেন। এ ছাড়া শাপলাকে বাদ দিতে যে কারণ দেখিয়েছে, সে একই কারণে ধানের শীষও প্রতীক হতে পারবে না।

প্রতীকের নতুন তালিকাটি আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের জন্য পাঠিয়েছে ইসি। আইন মন্ত্রণালয় চাইলে এখান থেকে প্রতীক বাতিল বা নতুন প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করতে ইসিকে সুপারিশ করতে পারে। সে সুযোগটিও নিতে পারে এনসিপি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দলের মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ কালবেলাকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের আচরণই সন্দেহজনক। সভা হয়েছে আজ (গতকাল); কিন্তু তারা গতকালই (বুধবার) শাপলা না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। আজ শুধু সেই সিদ্ধান্তকেই তারা জানিয়ে দিয়েছে। আমরা মনে করছি, এটি পরিকল্পিত এবং অন্য কোনো পক্ষের ইন্ধনে হয়েছে। ইসির এ সিদ্ধান্ত আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। শাপলাকেই প্রতীক হিসেবে আমরা চাইব। দলীয়ভাবে আলোচনা করে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’

আরও পড়ুনঃ  রাজনীতির হিসাব বদলে যাচ্ছে : রনি

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলছি নির্বাচন কমিশনের আচরণ পক্ষপাতমূলক। তারা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে সেটি আবারও প্রমাণ করেছে। শাপলাকে প্রতীক হিসেবে তপশিলভুক্ত না করা প্রহসনমূলক সিদ্ধান্ত বলে আমরা মনে করছি। আমরা শাপলাকেই প্রতীক হিসেবে চাই। তার জন্য রাজনৈতিক এবং আইনগতভাবে বিষয়টি বিবেচনা করব।’

এদিকে শাপলা প্রতীক যদি না হতে পারে, তাহলে ধানের শীষও প্রতীক হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির আরেক মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। বুধবার রাতে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘শাপলা জাতীয় প্রতীক নয়। জাতীয় প্রতীকের একটি অংশ। একইভাবে ধানের শীষ, পাট পাতা এবং তারকাও জাতীয় প্রতীকের অংশ। শাপলা যদি রাজনৈতিক দলের প্রতীক না হতে পারে, তাহলে ধানের শীষও প্রতীক হতে পারবে না। আর যদি জাতীয় প্রতীকের যে কোনো একটি অংশ রাজনৈতিক দলের প্রতীক হতে পারে, তাহলে শাপলাও হতে পারবে।’

আরও পড়ুনঃ  যারা মব তৈরি করেছে, তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না : তারেক রহমান

তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় ফুল হিসেবে শাপলার প্রতীক হতে আইনগত বাধা নেই। কারণ জাতীয় ফল কাঁঠাল অলরেডি মার্কা হিসেবে আছে। আর যদি মার্কা দেখেই ভয় পান, তাহলে সেটা আগে থেকেই বলেন!’

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ