Sunday, July 20, 2025

সোহাগের প্রাণ ভিক্ষায় খুনিদের পায়ে পড়েন কর্মচারীরা, রেহাই মেলেনি তবুও

আরও পড়ুন

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে মানুষের ভিড়, ব্যস্ততা আর কোলাহলের মাঝেই ঘটল এক রক্তাক্ত নৃশংসতা। হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে প্রকাশ্যে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয় ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সোহাগকে (৪৩)। চোখের সামনে মালিককে মরতে দেখে প্রাণভিক্ষা চেয়ে খুনিদের পায়ে লুটিয়ে পড়েন তার দুই কর্মচারী মো. ইসমাইল ও মো. বাবুল। বারবার অনুনয় বিনয় করেও তারা থামাতে পারেননি হামলাকারীদের। প্রকাশ্যেই চলে পিটুনি, ধারালো অস্ত্রের কোপ আর পাথরের আঘাত। নিশ্চিত করে দেওয়া হয় সোহাগের মৃত্যু।

জানা গেছে, নিহত মো. সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন। ঘটনার পর পুলিশ জনি ও মঈন নামে দুজনকে আটক করেছে।

আরও পড়ুনঃ  পাথর মেরে হত্যা, সেই মহিনসহ গ্রেপ্তার ৪

সোহাগের বন্ধু মামুন বলেন, গত দুই-তিন মাস ধরে মঈন প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করত সোহাগের কাছ থেকে। সোহাগ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রায় দুই মাস আগে দোকানের সামনে এসে হুমকি দিয়ে যায় তোকে দেখে নেব। আজ সন্ধ্যায় সোহাগকে একা পেয়ে মঈনসহ ৪-৫ জন মিলে তাকে পাথর দিয়ে আঘাত করে এবং উলঙ্গ করে নির্মমভাবে মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

আমরা কেউ ভয়ে এগিয়ে যেতে পারিনি, কারণ মঈন চকবাজার থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিল। তার বিরুদ্ধে মিটফোর্ড হাসপাতালের ফুটপাত ও কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগেও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সুপারিশ করে চাকরি দেওয়ার কথা শোনা যায়।

আরও পড়ুনঃ  ব্রেকিং নিউজ: এক বাড়িতেই মিলল হত্যা মামলার সাত আসামি

এ বিষয়ে লালবাগ থানার ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাব্বি গণমাধ্যমকে বলেন, মঈন একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। তিনি চকবাজার থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন এবং দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। বিশেষ করে দলের দুর্দিনে তিনি পাশে ছিলেন। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারেন—এটা আমরা বিশ্বাস করি না।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ঘটনাটি গত বুধবারের। কয়েকজন মিলে প্রকাশ্যে একজন ব্যক্তিকে পাথর মেরে হত্যা করেন। এ ঘটনায় থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাকি আরও কয়েকজন অজ্ঞাত রয়েছে। আসামীদের মধ্যে আমরা ২জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা এখন রিমান্ডে আছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ