এসএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র শিক্ষার্থীদের দিয়ে বৃত্ত ভরাট করানোর ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় এবার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
এরই মধ্যে ছয়জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (২০ জুলাই) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, ২০২৫ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র শিক্ষার্থীদের দিয়ে বৃত্ত ভরাট করানো হয় এবং এসব ভিডিও বা স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত। এই কার্যকলাপের ফলে শিক্ষা বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং পরীক্ষার্থীদের মনে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
আরও জানায়, পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রধান পরীক্ষক বা পরীক্ষক ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি, শিক্ষার্থী বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যকে দিয়ে বৃত্ত ভরাট, পূরণ করানো বা মূল্যায়ন করানো একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শোকজ করা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার জবাব পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বরাবর পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার কালবেলাকে বলেন, তারা যেসব কমকাণ্ড করেছে, তা অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, এমন প্রশ্নে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, বোর্ডের কালো তালিকাভুক্ত করা ছাড়াও পরীক্ষা আইনে তাদের দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া যায়।
গত বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া কিছু শিক্ষার্থী ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।
এ সময় তারা অভিযোগ করে যে এ বছর সাড়ে ছয় লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন এবং এর অন্যতম কারণ হচ্ছে টিকটকারদের দ্বারা খাতা মূল্যায়ন।
একাধিক পরীক্ষার্থী বলেন, আমাদের খাতা যারা দেখে তারা টিকটকার। আমাদের খাতা দেখে সে রিলস আবার তারা আপলোড করে।