Saturday, August 16, 2025

পরকিয়া করতে গিয়ে জনতার হাতে বিধবা নারীসহ বিএনপির নেতা আটক: অতঃপর বিয়ে

আরও পড়ুন

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় আফসার আলী (৪০) নামের বিএনপির এক নেতাকে নারীসহ আটক করেছে এলাকাবাসি। আটককৃত আফসার আলী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গাইবান্ধা সদরের বাদিয়াখালী ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।

বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার পুরাতন বাদিয়াখালী রিফাইতপুর গ্রামে বিবাহিত এক নারীসহ ওই নেতাকে আটক করা হয়।

আফসার আলীর বাড়ি একই ইউনিয়নের রিফাইতপুর চরবাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তার এক স্ত্রী ও দুইটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।

তার দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করেছেন ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সৌরভ তৌহিদ। তিনি বলেন, দুইজনের মধ্যে বিবাহের ব্যবস্থা করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। পরে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ  যুবদল নেতার নেতৃত্বে হোটেলে হামলা, নারীদের লাঞ্ছিত ও লুটপাটের অভিযোগ

পুলিশ ও স্থানীয়রা সুত্র জানান, রিফাইতপুর গ্রামের মৃত সাকেদুল ইসলামের স্ত্রী পিয়ারী বেগম (৩৮)। তার স্বামী সাদেকুল ইসলাম করোনা আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালে মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর দুই সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন তিনি। প্রায় দুই বছর থেকে আফসার আলী ওই নারীর বাড়িতে গোপনে যাতায়াত করতেন।

এ নিয়ে এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে পিয়ারী বেগম ও আফসার আলী মধ্যে অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এলাকাবাসি এক জোট হয়।

আরও পড়ুনঃ  বাঙালিদের অসম্মান-নিপীড়ন হলে চুপ করে বসে থাকব না: মমতা

গতকাল রাতে গোপনে আফসার আলী ওই নারী বাড়িতে আসে। এসময় স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে দুইজনকে একটি কক্ষে দেখতে পান। পরে তাদের আটক করে পুলিশ ও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের খবর দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আফসার আলী ওই বাড়িতে প্রায়ই আসতেন। তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। গত রাতে আফসার আলী ওই নারীর কাছে আসলে একটি রুমে তাদের দুইজনকে আটকে রাখি।’

পিয়ারী বেগম জানান, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই আফসার আলীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক। বৃহস্পতিবা রাতে আমার রুমে আসলে স্থানীয়রা আটক করে। যেহেতু তার সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিনের স্বামী-স্ত্রীর মতো সম্পর্ক তাই আমি তাকে বিয়ে করতে চাই।

আরও পড়ুনঃ  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ দফা ও আলটিমেটাম

আটক আফসার আলী জানান, আমাকে প্রলোভন দেখিয়ে এখানে ডেকে নিয়ে আসা হয়েছে। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। গ্রামের লোকজন যেটা করবে সেই মেনে নিবো।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুর ইসলাম তালুকদার। তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা বিষয়টি সমাধানের জন্য তাদের দুই জনের মধ্যে বিবাহ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই অনুসারে তাদের দুইজনের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ