পবিত্র রমজান মাসের জন্য সারা বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। ইবাদত-বন্দেগি, আল্লাহর নৈকট্য লাভ, পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করা এবং সমাজে ভালোবাসা ও সহযোগিতা ছড়িয়ে দেয়ার অনন্য মাস হলো রমজান। ২০২৬ সালও তার ব্যতিক্রম নয়।
সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজে সোমবার (১৮ আগস্ট) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্যোতির্বিদদের হিসাবে আগামী বছর (২০২৬ সাল) রমজান মাস শুরু হতে পারে ১৭ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার। এর আগের সন্ধ্যায় আরব বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে রমজানের চাঁদ দেখা যেতে পারে। তবে রমজান শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নির্ভর করবে চাঁদ দেখার ওপর। শাবান মাসের ২৯তম দিনে চাঁদ দেখার জন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নেয়া হয়। প্রতিটি দেশেই চাঁদ দেখা কমিটি বা ধর্মবিষয়ক সংস্থা রমজান মাসের শুরু ও শেষের তারিখ ঘোষণা করে থাকে।
ইসলামি ক্যালেন্ডার মূলত চন্দ্রচক্র অনুসারে নির্ধারিত হয়। তাই প্রতিটি মাস নতুন অর্ধচন্দ্র দেখার মধ্য দিয়েই শুরু ও শেষ হয়। যেহেতু চন্দ্র মাস সৌর মাসের তুলনায় ১০ থেকে ১১ দিন ছোট, তাই প্রতিবছর গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে রমজানের তারিখ এগিয়ে আসে। এ কারণে মুসলমানরা কখনো শীতে, কখনো গ্রীষ্মে, আবার কখনো বর্ষা বা বসন্তে রমজানের রোজা রাখার ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।