Thursday, August 21, 2025

বাংলাদেশ বিমানের ১০ টায়ার চুরি, ‘বিক্রি’ হয় অন্য এয়ারলাইন্সের কাছে

আরও পড়ুন

সম্প্রতি বিমানের একাধিক উড়োজাহাজে ত্রুটি ধরা পড়ায় রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরই মধ্যে নতুন করে সামনে এলো আরেক ঘটনা।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০টি টায়ার চুরি হয়েছে। তবে ‘চুরি’ না বলে বিষয়টিকে ‘স্থানান্তর’ হিসেবে উল্লেখ করে শাহজালাল বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত সোমবার জিডি করেন বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মোশারেফ হোসেন।

জিডিতে বলা হয়, ‘১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০টি আনসার্ভিসেবল টায়ার বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সের পাশে থাকা অকশন শেডে খুঁজে পাওয়া যায়নি। চাকার সন্ধান না পাওয়ায় বিমানের ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট সুপারভাইজার আরমান হোসেন ও স্টোর হেলপার সামসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়, অন্য একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কাছে হস্তান্তর করেছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে এমন কাজ করা হয়েছে।’

আরও পড়ুনঃ  নির্বাচন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস

এ বিষয়ে বিমানের মহাব্যবস্থাপক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এ বি এম রওশন কবীর বলেন, নিলামে ওঠানোর জন্য বিমানের ব্যবহৃত টায়ার রাখা ছিল। সেখান থেকে ১০টি টায়ার বিমানের দুই সদস্য অন্য একটি এয়ারলাইন্সের কাছে বিক্রি করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি ধরা পড়েছে। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এখন পুলিশি তদন্তের মাধ্যমে জড়িতরা চিহ্নিত হবে।

বুধবার (২০ আগস্ট) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিমানবন্দর থানার ওসি তাসলিমা আক্তার বলেন, উড়োজাহাজের চাকার বিষয়ে বিমানের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়েছে। পুলিশ বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  আ.লীগকে ফেলে দেওয়ার জন্য যা দরকার ছিল, সব করেছি : সিবগাতুল্লাহ

বিমানের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একেকটি চাকার দাম ৫ থেকে ১৫ হাজার ডলার। এ হিসেবে বিমানের কর্মীরাই প্রায় কোটি টাকার চাকা বিক্রি করে দিয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ