দুই ছাত্রের সঙ্গে দৈহিক মিলনে মেতেছিলেন শিক্ষিকা। অন্য এক ছাত্র কাছে বসেই দেখলো পুরো ঘটনা। বিষয়টি ফাঁস হতেই চাকরিচ্যুত করা হল অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে। তবে ওই দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, ওই ছাত্রদের সঙ্গে প্রথমে ধূমপান করেন শিক্ষিকা। ধীরে ধীরে তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এর পর দু’জনকে বাসভবনে আমন্ত্রণ জানান এবং একই সঙ্গে দু’জনের সঙ্গে সঙ্গম করেন। দুই ছাত্রের সঙ্গে ওই শিক্ষিকার মিলন তৃতীয় এক ছাত্র বসে দেখেন।
অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে। শুরু হয় তদন্ত। এর মধ্যে দুই ছাত্রের সঙ্গে একই সময়ে যৌন সম্পর্কের কথা স্বীকার করে ক্ষমা চান ওই শিক্ষিকা। তৎক্ষণাৎ চাকরিচ্যুত করা হয় তাঁকে। মহিলা আর কোনও দিন শিক্ষকতা করতে পারবেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি তিন বছরের জন্য তিনি কোথাও চাকরি করতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা স্বীকার করেছেন যে স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকতেন বলে তিনি ‘একাকিত্বে’ ভুগছিলেন এবং সে কারণেই ছাত্রদের সঙ্গে দৈহিক মিলনের সিদ্ধান্ত নেন। প্রায়শই তিনি ছাত্রদের নিয়ে পার্টিতে যেতেন বলেও স্বীকার করেছেন।
এদিকে এ বিষয়টি শেষমেষ আদালতে গড়ালেও পরে তা খারিজ হয়ে যায়। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় শিক্ষিকার আইনজীবী জানিয়েছেন যে, মামলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, অভিযুক্ত স্কুলের শিক্ষিকা হলেও ওই দুই শিক্ষার্থী তার ক্লাসে পড়াতেন না। অর্থাৎ, পড়ুয়াদের সঙ্গে সরাসরি শিক্ষকতার সম্পর্ক ছিল না অভিযুক্তের। পাশাপাশি, যা ঘটেছিল তা সকলের সম্মতিক্রমে হয়েছিল। যদিও আদালত ওই শিক্ষিকার কর্মকাণ্ডের কড়া নিন্দা করেছে। শিক্ষিকা পেশাগত সীমা লঙ্ঘন করেছেন বলেও মন্তব্য করেছে আদালত। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টাইমস অফ ইজ়রায়েল’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, এ ঘটনাটি ঘটেছে ইজ়রায়েলের পেটাহ টিকভা শহরে।