Wednesday, September 3, 2025

কসম খেয়ে বলছি কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করিনি: মেঘনা আলম

আরও পড়ুন

আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে মেঘনা আলম। চলতি বছর ৯ এপ্রিল রাতে তাকে রাজধানীর নিজ বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, পরদিন ১০ এপ্রিল রাতে আদালত মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। পরে চাঁদাবাজি মামলায় মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরবর্তীতে এই মডেল এপ্রিলের ২৮ তারিখ জামিন পান।

আরও পড়ুনঃ  গ্রেপ্তারের পর যা বললেন তৌহিদ আফ্রিদি

এদিকে, তাকে চরিত্রহীন বা লম্পট প্রমাণের যেকোনো অপচেষ্টা চলছে তা বন্ধ হোক বলে আহ্বান জানিয়েছেন মডেল মেঘনা আলম। সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এমন আহ্বান করেছেন তিনি। একইসঙ্গে ওই পোস্টে নিজেকে কুমারী দাবি করেছেন ২০২০ সালের মিস আর্থ বাংলাদেশ। 

রোববার (৩১ আগস্ট) এক ফেসবুক পোস্টে মেঘনা আলম বলেন, আল-কোরআন আল্লাহর সর্বশেষ বাণী। আজ আদালতে আমি শপথ করেছি সেই কোরআন হাতে নিয়ে যেটি আমাকে উপহার দিয়েছিল ঈসা, আরেকটি যেটি সৌদি বাদশাহ কর্তৃক মুদ্রিত ও সৌদি দূতাবাসের সরকারি অনুষ্ঠানে বিতরণকৃত। আমি আল-কোরআনের ওপর হাত রেখে ঘোষণা করেছি, আমার জীবনে আমি কখনো কারও সাথে যৌন সম্পর্ক করিনি, এমনকি ঈসার সাথেও নয়। আমাকে চরিত্রহীন বা লম্পট প্রমাণের যেকোনো অপচেষ্টা বন্ধ হোক।

আরও পড়ুনঃ  জানা গেলো যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন তৌহিদ আফ্রিদি

তিনি বলেন, আমাদের সমাজে মানুষ প্রায়ই ভুল করে, দাড়ি-জুব্বা-বোরকা দেখলেই মনে করে সেটিই পবিত্রতার প্রতীক, আর কোনো নারী খোলামেলা পোশাক পরলেই ধরে নেয় সে সহজলভ্য। কিন্তু বাহ্যিক চেহারা দিয়ে অন্তর বোঝা যায় না…আমি কোরআনের কসম খেয়ে বলছি, আমি কখনো সচেতন অবস্থায় কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করিনি। আজ পর্যন্ত আমি কুমারী।

মেঘনা আলম বলেন, শুধুমাত্র ক্ষমতাধর কারও সঙ্গে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার কারণে আমাকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে হয়রানি করা বন্ধ হোক। ইতিহাসে বারবার নারীকেই অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়, অথচ পুরুষ থেকে যায় প্রশ্নহীন, নিরাপদ ও অব্যাহতি-প্রাপ্ত।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ