এ যেন হীরক রাজার দেশ। চোখ বুজে শাসক যা বলবে সেটাই মেনে নিতে হবে জনগণকে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ সরকার। এরপরের এক দশকে বিশেষ করে ২০১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর দলটি নিজেদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে শুরুর করে পরিসংখ্যানের বর্ণীল চিত্র দিয়ে।
সংবাদ সমে্মলন, ব্রিফিং কিংবা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, সবখানেই উন্নয়ন হয়ে উঠে মুখ্যবার্তা। কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই মাসে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে সামনে আসে এক বিস্ময়কর তথ্য। প্রায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় থেকে উধাও। প্রতিটি জাতীয় দৈনিকে ফলাও করে ছাঁপা হয় খবরটি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, ইপিবি যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করে সেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথম ১০ মাসে রপ্তানি আয়ে ধরা পড়ে এক গুরুতর অমিল।
ঠিক তখনি বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের প্রকৃত হিসাব প্রকাশ করে যেখানে দেখা যায় প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলা কম রপ্তানি হয়েছে যা ইপিবির তথ্যের সাথে একেবারেই মিলে না।
রপ্তানির এই গরমিলের আগে থেকেই সংকটে ছিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ২০২২ সালের জুলাইয়ে রিজার্ভ নেমে যায় বিপজ্জনক সীমায়। প্রথমবারের মতো ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে। ২০২৩ সালে এই সংকট আরও গভীল হয়। ফেব্রুয়ারীতে রিজার্ভ ছুঁয়ে ফেলে ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নমাত্রা।