Thursday, July 3, 2025

পেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তানকে হত্যার অভিযোগ, নেপথ্যে যে কারণ

আরও পড়ুন

বগুড়ার নন্দীগ্রামে যৌতুকের দাবিতে রুমকি বেগম (৩৫ ) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর পেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ২৯ জুন নন্দীগ্রাম থানায় স্বামী আমিনুল ইসলামসহ শ্বশুরবাড়ির সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন রুমকি। আমিনুল ইসলাম উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম গ্রামের একরাম হোসেনের ছেলে।

থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রুমকি বেগম নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও জাদুঘর গেটের নিহার পালের মেয়ে। সে হিন্দু ধর্মের অনুসারী ছিলো। আমিনুল ইসলাম ও রুমকি বেগম উভয়ে বিবাহিত ছিলেন। আগের সংসারে দুজনের ছেলে-মেয়ে রয়েছে। মোবাইলের মাধ্যমে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে রুমকি বেগম হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। এরপর আমিনুল ইসলামের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য গৃহবধূ রুমকি বেগমকে নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য এ পর্যন্ত শ্বশুরবাড়ির লোকদের ৩ লাখ টাকা দিয়েছে সে। তাতেও নির্যাতন থামেনি। গত ২৭ জুন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন চুলের মুঠি ধরে পেটে লাথি মারে ও লাঠির আঘাতে জখম করেন। গৃহবধূর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন রুমকি বেগম জানতে পারেন পেটে লাথি মারার কারণে তার পেটের সাড়ে তিন মাসের সন্তান মারা গেছে। গত ২৯ জুন ভুক্তভোগী গৃহবধূ রুমকি বেগম থানায় যৌতুক ও সন্তান হত্যার অভিযোগ করেন।

আরও পড়ুনঃ  চট্টগ্রামে নারীকে লাথি মারা কে এই যুবক

এ বিষয়ে গৃহবধূ রুমকি বেগম বলেন, আমি গর্ভবতী জানা স্বত্বেও স্বামীসহ শশুরবাড়ির লোকজন আমাকে অমানবিক নির্যাতন ও মারধর করেছে। পেটে লাথি মারার কারণে আমার সাড়ে তিন মাসের বাচ্চা মারা গেছে। আমার পেটে জন্ম নেয়া শিশু কি অন্যায় করেছে? তারা আমার সন্তানকে মারলো কেন? একজন মা হিসেবে অবশ্যই আমার সন্তানের অপমৃত্যুর সঙ্গে জড়িত সবার শাস্তি চাই। মাঝে মাঝে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে মারধর করে। এর আগেও আমি থানায় চারটি অভিযোগ করেছি।

আরও পড়ুনঃ  ‘আমার পাওয়ার দরকার নাই পাওয়ার আমার পিছে ঘোরে’

রুমকি বেগমের স্বামী আমিনুল ইসলাম বলেন, তার অভিযোগ মিথ্যা। এসব বিষয়ে বাদীর সঙ্গে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন, যৌতুক দাবিতে নির্যাতন ও পেটে লাথি মেরে সন্তান মেরে ফেলার অভিযোগ করেছে এক গৃহবধূ। থানায় অভিযোগ করার পর সে নিজ এলাকায় চলে গেছে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মামলা রেকর্ড করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ