Wednesday, August 20, 2025

চতুর্থ বিয়ে করতে তৃতীয় স্ত্রীকে ‘মৃত’ দেখিয়ে ভুয়া সনদ নিলেন স্বামী

আরও পড়ুন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চতুর্থ বিয়ে করতে তৃতীয় স্ত্রীকে মৃত দেখিয়ে ইউপি সদস্যের কাছ থেকে ভুয়া সনদ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই সনদ দিয়ে ভোটার তালিকায় তৃতীয় স্ত্রীকে মৃত দেখানো হয়েছে।

এমন জালিয়াতির অভিযোগে শাহজাহানের তৃতীয় স্ত্রী সীমা আক্তার তার স্বামী, সনদ প্রদানকারি ইউপি সদস্য এবং সনদের তথ্য সংগ্রহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে সীমা আক্তার বাদী হয়ে এই অভিযোগ দেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লার শিহাচর এলাকার মৃত. ইউনুস ঢালীর ছেলে শাহজাহানের (৫০) সাথে নয় বছর আগে সীমা আক্তারের (৩৫) বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে তিনটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। সীমাকে বিয়ের আগে শাহজাহান আরও দুটি বিয়ে করেছেন।

আরও পড়ুনঃ  কন্যাসহ ৭ জনকে হারানো ওমান প্রবাসী বর্ণনা দিলেন বেঁচে ফেরার

পর্যায়ক্রমে নানা কৌশলে ওই দুই স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন শাহজাহান। তবে সীমাকে বিয়ের আগে দুই বিয়ের বিষয় গোপন রেখে সীমাকে বিয়ে করেন শাহজাহান।

এখন সীমাকে মৃত দেখিয়ে চতুর্থ বিয়ে করতে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সংগ্রহকারী শারমিন আকতারের মাধ্যমে ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হান্নানুর রফিক রঞ্জুর কাছ থেকে মৃত সনদ গ্রহণ করেন শাহজাহান। সেই সনদ উপজেলা নির্বাচন অফিসে দাখিল করে ভোটার তালিকায় তৃতীয় স্ত্রী সীমা আক্তারকে মৃত হিসেবে দেখান।

আরও পড়ুনঃ  অন্যের স্ত্রী নিয়ে পার্কে হাতেনাতে ধরা এসআই, অতপর...

পরে স্বামীর জালিয়াতির বিষয়টি সীমা জানতে পেরে নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে মৃত্যু সনদ সংগ্রহ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে কুতু্বপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হান্নানুর রফিক রঞ্জু বলেন, ‘ভোটার হালনাগাদের জন্য তথ্য সংগ্রহকারী শারমিন প্রতিদিনই শত শত লোকের আবেদনে সই স্বাক্ষর নিতেন। প্রতিটি আবেদনপত্র তিনি নিজেই যাচাই বাছাই করে আমার কাছে নিয়ে আসতেন। তাকে বিশ্বাস করে আমি আবেদনে সই স্বাক্ষর করে দিতাম। আমার সরলতা ও বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে শাহজাহানের আবেদনে সীমাকে মৃত দেখিয়ে শারমিন স্বাক্ষর নিয়েছে। বিষয়টি নির্বাচন অফিসে আলোচনা করে সমাধান করব।’

আরও পড়ুনঃ  স্ত্রীর মৃত্যুর খবরে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে মারা গেলেন স্বামী, পাশাপাশি কবরে দাফন

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, সীমা আক্তারের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য শুভঙ্কর নামে একজন এসআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তের পর মামলাসহ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ