আমেরিকার কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের এক অস্থায়ী শিক্ষিকাকে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রের সঙ্গে নগ্ন অবস্থায় ভিডিও কলে যৌন সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে
আমেরিকার কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের এক অস্থায়ী শিক্ষিকাকে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রের সঙ্গে নগ্ন অবস্থায় ভিডিও কলে যৌন সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বারেন কাউন্টি শেরিফ দপ্তরের তথ্যমতে, অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম ক্রিস্টাল সিমস । তার বয়স ৩০ বছর। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি গোসলখানায় নগ্ন অবস্থায় ওই ছাত্রের সঙ্গে ভিডিও চ্যাটে অংশ নেন এবং যৌন সম্পর্কের জন্য সাক্ষাতের পরিকল্পনা করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার এক কিশোর বারেন কাউন্টি শেরিফ অফিসের গোয়েন্দার সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ করে যে, সিমস তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে যোগাযোগ করেছেন। পরে ডব্লিউসিএলইউ রেডিও স্টেশনের হাতে পাওয়া পুলিশের উদ্ধৃতি অনুযায়ী, সিমস এই শিক্ষার্থীর সঙ্গে স্ন্যাপচ্যাটে যোগাযোগ রাখতেন। এই মাধ্যমে ওই ছাত্র প্রথমে তাকে ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ পাঠায়। এরপর দুজন অনলাইনে চ্যাট করতে করতে টেনেসির উত্তরে কেভ সিটিতে সাক্ষাৎ করে যৌন সম্পর্কে জড়ানোর পরিকল্পনা করে বলে পুলিশ জানায়। ২২ আগস্ট ওই ছাত্র সিমসের সঙ্গে ফোনালাপ রেকর্ড করে রাখে।
তবে পরবর্তী ‘ভিডিও চ্যাট’টি সে রেকর্ড করেনি। রেকর্ডকৃত ফোনালাপে এক নারীর কণ্ঠ শোনা যায়। তিনি কিশোরটিকে জিজ্ঞেস করেন- সে কি দেখা করতে আসবে কি না। পরবর্তীতে কলটি ভিডিও চ্যাটে রূপ নেয়, সেখানে সিমস গোসলের সময় তার বক্ষদেশ উন্মুক্ত করেন বলে অভিযোগ আছে। তদন্তকারীরা জানান, সিমস স্বীকার করেছেন রেকর্ডকৃত কলের নারী তিনিই। তবে তার দাবি, তিনি ছাত্রের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হয়েছিলেন শুধুমাত্র ক্লাসে তার আচরণের জন্য ক্ষমা চাইবার সুযোগ দিতে। তিনি আরও দাবি করেন, তাদের মধ্যে কোনো শারীরিক সম্পর্ক ঘটেনি।
সিমস আরও বলেন, তিনি অন্যান্য পুরুষ শিক্ষার্থীর অনেক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট প্রত্যাখ্যান করেছেন। কোন স্কুলে তিনি বদলি শিক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন, তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ‘ইলেকট্রনিক যোগাযোগ ব্যবহারের মাধ্যমে অপ্রাপ্তবয়স্ককে যৌন কার্যকলাপ বা অন্য বেআইনি কাজে প্রলুব্ধ করা’ অপরাধে অভিযুক্ত করেছে। তিনি ২৫,০০০ ডলার নগদ জামিন দিয়ে সোমবার মুক্তি পান। আদালতে তার হাজিরা নির্ধারিত হয়েছে বুধবার।
