Thursday, November 13, 2025

প্রায় এক দশক পর নতুন পে কমিশন সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে যা জানা গেল

আরও পড়ুন

ইতিহাসে দীর্ঘতম ব্যবধানের পর প্রায় এক দশক পর নতুন পে কমিশন গঠন করেছে সরকার। এই কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই ঘোষণা হবে নবম পে স্কেল, যা সরকারি চাকরিজীবীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি বেতন কাঠামোয় বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

২০২৫ সালের পে কমিশন গঠনের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের নজর এখন শুধু বেতন বৃদ্ধিতে নয়, বরং গ্রেডভিত্তিক বৈষম্য কমিয়ে বেতন অনুপাত পুনর্গঠনের দিকেও।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত আটটি পে স্কেল বাস্তবায়িত হয়েছে। পর্যালোচনায় দেখা যায়, সর্বোচ্চ আট বছরের ব্যবধানে দুইবার নতুন পে স্কেল ঘোষণা হয়েছে। ১৯৮৫ সালে সর্বোচ্চ বেতন দ্বিগুণ করে ৬,০০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন বেতন ১২২.২ শতাংশ বাড়িয়ে ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০০৫ সালে সর্বোচ্চ বেতন ৫৩.৩৩ শতাংশ বাড়িয়ে ২৩,০০০ টাকা ও সর্বনিম্ন বেতন ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে ২,৪০০ টাকা করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  কীভাবে দেশ ছেড়ে পালালেন মেজর কবীর, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

ছয় বছরের ব্যবধানে ১৯৯১ সালের কমিশন সর্বোচ্চ বেতন ৬৬.৬৬ শতাংশ বাড়িয়ে ১০,০০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন বেতন ৮০ শতাংশ বাড়িয়ে ৯০০ টাকা করে। ২০১৫ সালে সর্বশেষ ঘোষিত অষ্টম পে স্কেলে সর্বোচ্চ বেতন ৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৮,০০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন বেতন ১০১.২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৮,২৫০ টাকা।

এর আগে ১৯৯৭ সালের কমিশন পাঁচ বছরের ব্যবধানে সর্বোচ্চ বেতন ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫,০০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন বেতন ৬৬.৬৬ শতাংশ বাড়িয়ে ১,৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছিল। ইতিহাসে সবচেয়ে কম ব্যবধান ছিল ১৯৭৭ সালে—মাত্র চার বছরে নতুন স্কেল ঘোষণা হয়, যেখানে সর্বোচ্চ বেতন ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩,০০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন বেতন ৭৩ শতাংশ বাড়িয়ে ২২৫ টাকা করা হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ  এবার স্ত্রীকে নিয়ে যে ইঙ্গিত দিলেন আবু ত্বহা আদনান

গড় হিসেবে, গত ৪৪ বছরে সরকারি চাকরিজীবীরা প্রতি ৫.৫ বছর অন্তর একটি নতুন পে স্কেল পেয়েছেন। অর্থ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, নতুন স্কেল ঘোষণা হবে ২০২৬ সালে। কর্মজীবীদের মতে, ১১ বছরে অন্তত দুটি স্কেল ঘোষণা হওয়া উচিত ছিল।

পে কমিশন–২০২৫-এর এক সদস্য বলেন, “সুপারিশ প্রণয়নে দেশের আর্থিক সক্ষমতাও বিবেচনায় থাকবে। আমরা চার ক্যাটাগরিতে প্রশ্ন দিয়েছিলাম মতামতের জন্য, এখন সেগুলো বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”

১১–২০তম গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “২০১৫ সালের পর অন্তত দুটি কমিশন গঠিত হলে দুইবার বেতন বাড়তো। তাই এবার অন্তত ১৫০% বেতন বৃদ্ধি দরকার। পাশাপাশি বাজারমূল্যের সঙ্গে মিল রেখে গ্রেডভিত্তিক বৈষম্য দূর করতে হবে। সর্বনিম্ন মূল বেতন হওয়া উচিত ৩২,০০০ এবং সর্বোচ্চ ১,২৮,০০০ টাকা।”

আরও পড়ুনঃ  সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় তিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

পে কমিশনের আরেক সদস্য ইঙ্গিত দিয়েছেন, নতুন স্কেলে মূল বেতন দ্বিগুণ হতে পারে। সে অনুযায়ী, ১ম গ্রেডের সর্বোচ্চ মূল বেতন দাঁড়াবে ১,৫৬,০০০ টাকা এবং ২০তম গ্রেডের সর্বনিম্ন বেতন হবে ১৬,৫০০ টাকা। গ্রেড সংখ্যা কমানো হলে নিম্নতম বেতন আরও বাড়তে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ