জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান চলাকালে রাজধানীর রামপুরায় ছাদের কার্নিশে ঝুলে থাকা আমির হোসেনকে গুলির ঘটনায় ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে। দ্রুতই আলোচিত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রামপুরায় হোটেলে কাজ শেষে ঢাকায় থাকা ফুফুর বাসায় ফিরছিলেন আমির হোসেন (১৮)। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
ঘটনার দিন বনশ্রী-মেরাদিয়া সড়কের দুই পাশে পুলিশ ও বিজিবির গাড়ি দেখে ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে পাশে থাকা একটি নির্মাণাধীন চার তলা ভবনের ছাদে উঠে পড়েন তিনি। ওই সময় পুলিশও তার পিছু পিছু যায়। একপর্যায়ে জীবন বাঁচাতে ওই নির্মাণাধীন ভবনটির ছাদের কার্নিশের রড ধরে ঝুলে থাকেন তিনি।
তবে পরবর্তীতে পুলিশ তাকে দেখে ফেলে। ওই সময় তাকে নিচে লাফ দিতেও বলা হয়। একপর্যায়ে আমির হোসেনকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি করেন এক পুলিশ সদস্য। ঘটনার পর ৩ তলায় পড়ে গেলে কয়েকজন আমির হোসেনের চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধারের পর প্রথমে বনশ্রীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে সেখানে ব্যান্ডেজ ও রক্ত বন্ধ করার পর ওইদিন রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। একপর্যায়ে সেখানে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন আমির।
এ ঘটনায় গত ২৬ জানুয়ারি রাতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি দল আমির হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো সাবেক এএসআই চঞ্চল সরকারকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে গ্রেপ্তার করে।