Wednesday, July 9, 2025

তরুণীর প্রেমে সংসার ছাড়লেন চার সন্তানের জননী, অতঃপর…

আরও পড়ুন

যোগাযোগ হয়েছে ফেসবুকে। সেখান থেকে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার চার সন্তানের জননী কল্পনা খাতুন ও গাইবান্ধার তরুণী নুরিয়ার মধ্যে। শুনতে অবাক লাগলেও গত ৯ দিন আগে শৈলকূপা থেকে কল্পনা খাতুন চলে যান ঢাকায়। সেখানে তিনি তরুণী নুরিয়ার কাছে গিয়ে ওঠেন। এরপর কল্পনা খাতুনের পরিবারের জিডি করেন শৈলকূপা থানায়। যা জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে শৈলকূপা পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে এসে বুঝিয়ে পরিবারের কাছে দু’জনকে হস্তান্তর করে।

আরও পড়ুনঃ  রেস্ট হাউসে নারী নিয়ে ওসি, ছাত্রদলের হানা, তারপর...

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহের শৈলকূপার প্রবাসী এনামুল হকের স্ত্রী কল্পনা খাতুনের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় গাইবান্ধা সদর উপজেলার নুরনবী মিয়ার মেয়ে নুরিয়ার। প্রথমে বন্ধুত্ব, পরে সেই সম্পর্ক রূপ নেয় প্রেমে। সম্পর্ক গভীর হলে তারা একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।

তদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রায় ৯ দিন আগে কল্পনা খাতুন চার সন্তান ও স্বামী-সংসার ফেলে গোপনে ঢাকায় চলে যান নুরিয়ার কাছে। সেখানে কয়েকদিন তারা একসঙ্গে কাটান। কিন্তু বিষয়টি গোপন না থাকায় কল্পনার পরিবারের উদ্বেগ বাড়তে থাকে। পরে তারা শৈলকূপা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

আরও পড়ুনঃ  মধ্যরাতে এনসিপি নেতার বাসায় তালা ভেঙে কক্ষ তছনছ

পরবর্তীতে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করে এবং কৌশলে থানায় নিয়ে আসে। আজ সকালে থানায় হাজির হন দুই পরিবারের সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন কল্পনা ও নুরিয়াও। থানায় স্থানীয় জনতার ভিড় জমে যায় বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর।

পুলিশের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত দু’জনকে তাদের নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় দিয়ে বিদায় জানানো হয়।

শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, দুই পরিবারের কাছে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের লোকেশন ট্রেস করে ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। সমঝোতা করে তাদের বাড়ি পাঠানো হয়েছে। মূলত কল্পনার পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ কাজ করতে শুরু করে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ