ভোলার চরফ্যাশনে ৪৭ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানোর অভিযোগে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও তার এক সহযোগীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী ৩ জুলাই ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন, যার নম্বর ২৮৬-২৫।
মামলার আসামীরা হলেন- উপজেলার চরকুকরি-মুকরি ইউনিয়ন চরপাতিলা ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. ফিরোজ (৪৫), ও তার সহযোগী একই ওয়ার্ডের মন্নান মাঝি (৪৫)।
মামলা সূত্র জানা যায়, গত ২৮ জুন বিকাল ৫ টার দিকে ভুক্তভোগী নারীর বসতঘরের পিছনের বারান্দায় চৌকির ওপরে এই ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, তিনি একা বাড়িতে বসবাস করেন। সংসারে স্বামী ছাড়া অন্য কোনো সদস্য নাই। তার বাড়ি থেকে অন্যান্য বাড়ির দূরত্ব প্রায় আদা কিলোমিটার৷ আসামীররা প্রায় সময় তার স্বামী বাড়ি না থাকার সুযোগে তাকে অশ্লীল কথাবার্তা এবং কুপ্রস্তাব দিতো। বিষয়টি তার স্বামীকে জানালে তিনি আসামিদের সতর্ক করার পরও তারা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। ঘটনার দিন বিকালে আসামীরা কৌশলে তার স্বামীর বসতঘর ঢুকে পিছনের বারান্দায় চৌকির ওপরে ওই নারী শোয়া অবস্থায় তার গায়ে হাত দেয়। এসময় ওই নারী চিৎকার দিলে আসামীরা নারীর পরিহিত কাপড় মুখের মধ্যে দিয়ে নারীর সাথে খারাপ কাজ করার জন্য চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওই নারীর মুখের কাপড় সরে গেলে তিনি সজোরে চিৎকার করেন। এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই নারীর স্বামী তাকে পড়নের পরিধেয় ছেড়া বস্ত্র ও জখম অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ওই নারী মামলায় আরো জানিয়েছে, এ ঘটনায় দক্ষিণ আইচা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। তাই তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করার পর থেকে বিএনপি সভাপতি ও তার সহযোগীর ভয়ে স্বামীর বসতবাড়ি ছেড়ে অনত্রে বসবাস করছেন।
অভিযুক্ত ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফিরোজ ও তার সহযোগী মন্নান তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমাদেরকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে