Sunday, July 20, 2025

রাজসাক্ষী মামুন ক্ষমা পাবেন কিনা, যা জানালেন চিফ প্রসিকিউটর

আরও পড়ুন

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ক্ষমা পাবেন কিনা, সেটার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে ট্রাইব্যুনালের বিচারের শেষে। আবদুল্লাহ আল মামুন এবং অন্যান্যদের সাক্ষ্য বিবেচনা করে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন। তিনি বিচার শেষে ক্ষমাও পেতে পারেন, আবার অল্প সাজা অথবা পূর্ণাঙ্গ সাজা পেতে পারেন।’ শনিবার তিনি যুগান্তরকে এসব কথা বলেন।

‘রাজসাক্ষী মামুনকে শর্তসাপেক্ষে ট্রাইব্যুনাল ক্ষমা করে দিয়েছেন’ মর্মে শনিবার দুপুর থেকে দুই পৃষ্ঠার একটি আদেশের কপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়।

আরও পড়ুনঃ  অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ১৮ বিচারককে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ‘অ্যাপ্রুভার’ (দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্য বিবরণ প্রকাশ করেন যিনি) হওয়ার আবেদন করেন। সাময়িকভাবে তা মঞ্জুর করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বিচার শেষে আদালত তাকে ক্ষমাও করতে পারেন, আবার অল্প সাজা অথবা পূর্ণাঙ্গ সাজা দিতে পারেন’।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘যারা ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে ছড়াচ্ছে সেটা বিভ্রান্তিকর খবর। তিনি (সাবেক আইজিপি) অপরাধী সেটা ট্রাইব্যুনালে স্বীকার করেছেন এবং সাক্ষ্য দিতে চেয়েছেন। আদালত প্রাথমিকভাবে তার বক্তব্য গ্রহণ করেছেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আদালতে তার সাক্ষ্যপ্রমাণ নেওয়ার পর। তিনি (সাবেক আইজিপি) এবং অন্যান্য সাক্ষীরা যা বলবেন- তা সবকিছু বিবেচনা করা হবে। এরপর আদালত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।

আরও পড়ুনঃ  যে মামলায় গ্রেফতার হলেন সাবেক এমপি ও ক্রিকেটার দুর্জয়

প্রসঙ্গত, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন গত বৃহস্পতিবার অ্যাপ্রুভার হওয়ার আবেদন করেন। পরে তা মঞ্জুর করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো মামলায় একজন আসামি ‘অ্যাপ্রুভার’ হলেন। ট্রাইব্যুনাল আইনের ১৫ ধারায় অ্যাপ্রুভারের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এ ধারার শিরোনাম ‘পারডন অব অ্যান অ্যাপ্রুভার’। বাংলায় বিষয়টিকে ‘দোষ স্বীকারকারী সাক্ষীর ক্ষমা’ বলা যেতে পারে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ