Friday, July 18, 2025

এক বিস্ফোরণই কেড়ে নিলো একে একে পরিবারের ৪ সদস্যের প্রাণ

আরও পড়ুন

রাজধানীর সূত্রাপুরের কাগজিটোলা এলাকায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ ছেলে-মেয়ের পর দগ্ধ রিপন (৪০) মারা গেছেন। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ পরিবারের ৫ সদস্যের মধ্যে ৪ জনই মারা গেলেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিপন। বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, রিপনের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিপনের ছেলে রোকন (১৪)। তার আগের দিন (সোমবার) রাতে মারা যায় রোকনের দেড় বছর বয়সী বোন আয়েশা। আর বুধবার সকালে রোকন ও আয়শার ভাই তামিমের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুনঃ  দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকতে বললেন সাদিক কায়েম

বিস্ফোরণের ঘটনায় রিপনের স্ত্রী চাঁদনীর শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। স্বামী ও ছেলে-মেয়ের মৃত্যুর পর তিনি চিকিৎসা না নিয়ে নিজ ইচ্ছায় বাড়ি চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।

গত ১০ জুলাই দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সূত্রাপুরের কাগজিটোলা এলাকায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। এতে ভ্যানচালক রিপন ছাড়াও তার স্ত্রী চাঁদনী, ছেলে তামীম ও রোকন এবং মেয়ে আয়েশা দগ্ধ হয়েছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১৪১টি ‘মব হামলা’, নিহতের সংখ্যা কতো

রিপনের মামা জাকির হোসেন জানান, ৩ ছেলে-মেয়ের মৃত্যুর পর চাদনী আর হাসপাতালে থাকতে চায়নি। মরলে বাড়িতেই মরবে। এই অবস্থায় বুধবার (১৬ জুলাই) ইচ্ছাকৃতভাবে সে গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। সেখানে ৩ ছেলে-মেয়ের দাফন সম্পন্ন হয়।

তিনি জানান, সূত্রাপুরের কাগজিটোলা এলাকার সাঈদ চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশের একটি পাঁচতলা বাড়ির নিচতলায় পরিবারসহ রিপন ভাড়া থাকত। ঘটনার রাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় হঠাৎ করেই বাসায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রিপনসহ সবাই দগ্ধ হয়। পরবর্তীতে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। রিপনের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায়। বাসায় গ্যাস লাইনে লিকেজের কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ