জামায়াতে ইসলামীর প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘জনগণ যদি একাত্তরের পরাজিত শক্তির কৃতকর্ম ভুলে তাদের ভোট দেয়, সালাম দেব। তাদের এই আস্ফালন আমাদের মতো মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে থাকতে মেনে নিতে পারে না, এ কথা কিন্তু আমরা এখনো বলিনি। স্বাধীনতাযুদ্ধে আপনারা অপরাধ করেছেন, আমরা ক্ষমা করেছি, কিন্তু ভুলে যাইনি।’
শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটাখোলা মোড়ে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হারিছ রিকাবদার।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিএনপি সংস্কারে বিশ্বাস করে, তবে কুসংস্কারে নয়। সংস্কারের নামে কুসংস্কার চলবে না। যারা পিআর পদ্ধতিতে যেতে চায়, তারা পিছনের রাস্তা খুঁজছে। বিএনপি সামনে এগোতে চায়-সরাসরি ভোটে অংশ নিতে চায়।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জুলাই যোদ্ধা ছাত্র ও এনসিপি নেতৃবৃন্দের প্রতি বিএনপি কৃতজ্ঞতা জানায়, তার মানে এই না। লুট করেছি আমি ভাই, সবকিছু একা খাই। গণতন্ত্র আর জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ১৭ বছর ধরে আন্দোলন চলছিল। বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়নি, জনগণের ভোটাধিকারের জন্য পাগল হয়েছে। জনগণ বিএনপিকে ভোট দিলে আপনাদের মানতে অসুবিধা কি, জনসম্মুখে বলতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সবচেয়ে বড় সংস্কারক, বিএনপি সংস্কারে বিশ্বাস করে কুসংস্কারে নয়।
এসময় ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে ইটাখোলা মোড়ে নিহত চারজন শহীদসহ সকল শহীদের স্মরণ ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়।
গয়েস্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘বিএনপি সংস্কারে বিশ্বাস করে। তবে কু-সংস্কারে বিশ্বাস করে না। সংস্কারের নামে কু-সংস্কারে চলবে না। যারা পি আর পদ্ধতিতে যাবে, সেটা পিছনের রাস্তা। আর বিএনপি চায় সামনের রাস্তা। সামনা-সামনি আসবো। আর ভোট দিবো। পিআর সিস্টেম ভালো না। সেটা সব দেশে একসেপ্ট না। সুতরাং যারা পিছনের রাস্তা পছন্দ করেন। তারা সামনের রাস্তা পছন্দ করেন না। পি আর সিস্টেম আপনি কাকে ভোট দেবেন সেটা আপনি জানবেন না। এটা কোন সিস্টেম না। তাছাড়া আমর দেশের মানুষ যাহা বুঝতে অক্ষম, আপনদের মতো পণ্ডিতরা গিলানোর চেষ্টা করবেন না।
রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা ধমক দিলে আমরা ভয় পেয়ে যাবো সেটা ভাবা বোকার স্বর্গে বাস করা। ১৯৭১ সালে যে কাজটা বাকি ছিল, সেটা জুলাই-২৪ এ হয়েছে।
স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও সাবেক এমপি খায়রুল কবির খোকন, মনোহরদী বেলাবো আসনের সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেক রিকাবদার প্রমুখ।