বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘১০ লাখ লোকের মিটিং করছে, একশো’ কোটি টাকা খরচ করছে। বাপের বেটা হইলে ভোটে আয়, ভোট কর। ভোটের বেলায় গলা চিপা দেস কেন?’
শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের হাওর–অধ্যুষিত ইটনায় উপজেলা কৃষক দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ফজলুর রহমান এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘জামায়াত সম্পর্কে সাবধান, রাজাকার আল-বদর সম্পর্কে সাবধান। আর আমি এসব বললেই ফজলুর রহমানকে থামাতে হবে। আমার দলও প্রথম আমাকে ভুল বুঝছে। কিন্তু এখন আমার দলের স্লোগান— জামায়াত–শিবির–রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়। ইটস বেটার লেট, দেন নেভার। শেষে এসে হলেও বুঝতে পারছে আমার দল।’
সমালোচকদের উদ্দেশে ফজলুর রহমান আরও বলেন, ‘আমারে নিয়া ইউটিউবে অনেক কথা হয়। আমাকে নাকি দল থেকে এক্সপেল করে ফেলেছে। আমি এই দেশে কথা বলি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার লাগি না। আমিই প্রথম বলছি আওয়ামী লীগের আ-লিখতে আরও ১০ বছর লাগবে। এখনো এই কথা বলি। আমি যে পক্ষে বলি, সেটা হলো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ। কারণ যখন আমি বুঝতে পারছি জামায়াতের চরিত্র ঠিক হইছে না। তারা বলে এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ হইছে না। আর ছাত্রশিবির বলে, যারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করছিল, আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া লাগবে। তখন আমি আর সহ্য করতে পারি না। আমি মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডার ছিলাম। রাজাকারের বাচ্চারা এখন কইব, মুক্তিযুদ্ধ হয় নাই। আর আমি ছাইড়া দিব? এখনো কিন্তু ফজলুর রহমান জীবিত আছে। এখনো কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা জীবিত আছে। প্রয়োজনে আবার যুদ্ধ হবে।’
ইটনা কলেজ মাঠে আয়োজিত উপজেলা কৃষক দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক হাবিবুল হান্নান। উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব মাহফুজুর রহমান ও যুগ্ম আহ্বায়ক ছাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন খান, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আইনজীবী উম্মে কুলসুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম, সদস্যসচিব ওবায়দুল্লাহ ওবায়েদ, ইটনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসএম কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর প্রমুখ।