আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আয়োজিত অংশীজন সভায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল সভাপতি গনেশ চন্দ্র রায় সাহসের বক্তব্যে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রবিবার (২০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এ সভায় ভিসি ও প্রক্টরকে ভুল নামে সম্বোধন করেন তিনি।
বক্তব্যে তিনি উপাচার্য ও প্রক্টরকে সম্বোধন করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে আমাদের মাননীয় ভিসি স্যার আছেন ড. সরফরাজ খান; প্রক্টর স্যার আছেন, নিয়াজ আহমদ খান স্যার এবং প্রক্টর স্যার সফিকুল স্যার আছেন, সাইফুদ্দিন স্যার— উনাদের উপস্থিতিতেও আমরা অনেক কথা বলেছি।’ উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানকে ‘সরফরাজ’ এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দীন আহমদকে ‘শফিউল’ সম্বোধন করলেও পরবর্তীতে শুধরে নেন তিনি। ততক্ষণে সভাস্থলে উপস্থিত শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে বিব্রতকর পরিবেশ তৈরি হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য ছাড়াও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক প্রতিনিধি, সাংবাদিক সমিতির সদস্য এবং ছাত্রসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত একাধিক সাংবাদিক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদে থাকা দু’জনের নামে একইসঙ্গে এ ধরনের ভুল কাম্য নয়। ছাত্রদলের মতো সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে এটি বেমানান। ভুল হওয়ার পরও তাৎক্ষণিক স্যরি না বলার বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে গনেশ চন্দ্র রায় সাহসকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেনি।
এর আগে সভায় চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানান, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে ২৯ জুলাই। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। এছাড়াও ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের যেসব শিক্ষার্থীর মাস্টার্সের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, তারা আসন্ন ডাকসু বা হল ইউনিয়ন নির্বাচনে ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার যোগ্য নন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ডাকসু সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা রাখে বলেও সভায় জানানো হয়।