Saturday, August 2, 2025

ক্ষুব্ধ হয়ে করাচি পাঠানোর হুমকি দিল দিল্লির এই দাসি ফ্যাসিস্ট হাসিনার ভার্চুয়াল আড্ডায় ঢুকে ডিস্টার্ব

আরও পড়ুন

আর কদিন পরেই ৫ আগস্ট। এই দিনে খুনি শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার এক বছর পূর্ণ হবে। তার দল গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ বর্তমানে নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত। বাংলাদেশের ভুক্তভোগী জনতার রোষাণল থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে দলটির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতা।

ভারতে পালিয়ে একা হয়ে পড়া স্বৈরাচার হাসিনার সময় কাটছে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে ভার্চুয়াল আড্ডায়। নিয়মিত এতে যোগ দেয় দেশ ছেড়ে পালানো ও আত্মগোপনে থাকা দলীয় খুনি, বখাটে, সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজেরা। টেলিগ্রাম গ্রুপে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই আড্ডা। ভারতের মদদে অনলাইনে বসেই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নানা নাশকতার পরিকল্পনা করা হয়। সম্প্রতি দলটির টেলিগ্রামে চাঁদাবাজির অভিনব এক পদ্ধতি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় সারাদেশে।

সম্প্রতি টেলিগ্রাম কনফারেন্সের ৫০ সেকেন্ডের স্ক্রিন রেকর্ড করা একটি খণ্ডিত ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। এতে একজন উপস্থাপককে বলতে শোনা যায়, মনে হয় নেত্রী চলে গেছে। এসময় ‘HESH’ নামের আইডি থেকে পলাতক হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, “না না নেত্রী আছে, যায় নাই। ডিস্টার্ব করছে। আর কিছু কিছু বাজে লোক ঢুকে আজেবাজে কথা বলছে।”

আরও পড়ুনঃ  গাজার আকাশ থেকে ত্রাণের বৃষ্টি ফেলবে দুই প্রতিবেশী

খুনি হাসিনা হুমকি দিয়ে আরো বলে, “এরা পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের জারজ সন্তান যারা এ সমস্ত জঘন্য কথা বলে। নামটাম সব লিখে রাখো, যারা আছে সবকটারে করাচিতে পাঠিয়ে দিব।”

নেটিজেনরা হাসিনার হুমকির প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, এই মহিলা যে এত ছেছড়া ইন্ডিয়া পালিয়ে যাওয়ার পর জনগণ আরো ভালো করে জানার সুযোগ পেয়েছে।তার এই রকম অধ:পতন হবে সে নিজে কখনো স্বপ্নেও ভাবে না। এখন ফুটপাতের অবিক্রিত মাল।কতো লো লেভেলের নেত্রী। টুকাইদের সাথে গ্রুপে কথা বলছে।

আরও পড়ুনঃ  থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: কী ঘটছে, কেন ঘটছে?

গত ১৬ বছর এই সাইকো, মূর্খ নাকি আমাদেরকে চালাইছে! কি এক্টা অবস্থা!এই মহিলার ক্ষমতার লোভ বেশি। কথায় কথায় পাকিস্তান পাঠিয়ে দিবে। কেনো বাংলাদেশ কি তোর বাপ একলায় স্বাধীন করছে।

ফেসবুকে একজন ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ইয়ে মানে দেশলেত্রীর সাথে এতক্ষন মিটিং এ ছিলাম!! লেত্রী অচিরেই ফিরে আসবেন। উনার মিটিং এ যারা ডিস্টার্ব করেছে তাদেরকে এসে তিনি সরাসরি ভিসা বিহীন, পাসপোর্ট ছাড়াই করাচিতে পাঠিয়ে দেবেন বলে আসস্থ করেছেন।পাকিস্তান ট্যুরে ফ্রিতে যেতে চাইলে বেশী বেশী ডিস্টার্ব করেন‌।

উল্লেখ্য, এক বছর ধরে হাসিনার দলের নেতা–কর্মীদের যোগাযোগের মূল মাধ্যম হয়ে উঠেছে টেলিগ্রাম। এসব গ্রুপের কোনো কোনোটিতে ২০ থেকে ৩০ হাজারের বেশি সদস্য রয়েছেন। প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব গ্রুপে মিটিং চলে। এতে দলের কেন্দ্রীয় নেতা, বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন।

আরও পড়ুনঃ  পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিস্ফোরণ, নিহত ৩ কর্মকর্তা

আওয়ামী লীগের কিছু সূত্র নিউজ১৮-কে জানিয়েছে, শেখ হাসিনা এসব আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হলে কে কথা বলবেন, তা নির্ধারণে অর্থ লেনদেন হয়। এই অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সূত্র বলছে, টেলিগ্রামকে নিজের প্রধান রাজনৈতিক মঞ্চ বানিয়ে রেখেছে কাদের। সেখানে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়ে ঢাকা ঘেরাওয়ের ডাক দিচ্ছে। কিন্তু তাঁর কথায় কোনো পরিষ্কার পরিকল্পনা বা বাস্তব পদক্ষেপ থাকে না বলে অভিযোগ সূত্রগুলোর।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ