স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদও জানিয়েছেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে এবং বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে তারা ইতোমধ্যে প্রায় ৪ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে তিনি বলেছেন, আমাদের যা করণীয়, তা আমরা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই যে ধরনের কার্যকর পদক্ষেপের প্রত্যাশা ছিল তা দেখা যায়নি। বরং সরকারের উদাসীনতা এবং রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশই পরিস্থিতিকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে। তাদের মতে, প্রতিটি ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগিয়ে দেখার প্রবণতা অপরাধীদের উসকে দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘ক্ষোভ প্রকাশের নামে সহিংসতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আবার এই ঘটনাগুলোকে হালকাভাবে দেখাও আইনের শাসনের প্রতি অবজ্ঞা। এ বিষয়ে সরকারের আরও আগেই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।
সমন্বয়হীনতার অভাব ও ব্যবস্থাপনা সংকট
ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিশুদের মর্মান্তিক হতাহতের ঘটনার পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা ছিল সমন্বয়হীন ও দুর্বল। বিশ্লেষকদের মতে, এ ঘটনায় যেমন সরকারের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তেমনই জনবহুল এলাকায় যুদ্ধবিমান চালনার প্রশিক্ষণ কেন দেওয়া হচ্ছে এবং পুরো ঘটনার দায়ভার কার ওপর, সেটিও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বাংলাদেশে একসঙ্গে এত শিশু হতাহতের ঘটনা বিরল। এ ঘটনার পরপরই সরকার যে পদক্ষেপগুলো নেয়, সেগুলোর প্রতিটি নিয়েই জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয় এবং তা নানামুখী আলোচনা ও সমালোচনার সূত্রপাত করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ দুর্ঘটনার পর সরকারের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীরগতি, কার্যকর সমন্বয়ের অভাব এবং দক্ষতার ঘাটতি চোখে পড়ার মতো ছিল। বড় ধরনের জাতীয় সংকট সামাল দিতে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার যে ভঙ্গুরতা রয়েছে, তা আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে, রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ মনে করছেন, এ ঘটনায় সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা আরও একধাপ কমেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের চুক্তি নীতি নিয়ে সন্দেহ ও প্রশ্ন
ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্টসহ (এনডিএ) অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন চুক্তিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলো তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছেন। চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি, যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম ও উড়োজাহাজ কেনার বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তারা জনগণের স্বার্থবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না এবং এসব চুক্তি করা সরকারে বৈধ ম্যান্ডেট রয়েছে।
রাখাইনে জরুরি ত্রাণ সরবরাহের জন্য জাতিসংঘকে করিডোর দেওয়ার বিষয়টি শুরুতে সরকারের তরফ থেকে সামনে আনা হয়েছিল, তবে সমালোচনার পর এখন এই বিষয়ে আলোচনা বন্ধ রয়েছে। সরকারের বক্তব্য, জাতিসংঘের সঙ্গে করিডোর বা প্যাসেজ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি এবং এ ধরনের পরিকল্পনা সরকারের বিবেচনায় নেই।
অন্যদিকে, ১৮ জুলাই থেকে মানবাধিকার কমিশনের অফিস বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করায় তা এখন অনস্বীকার্য বাস্তবতা। তবে এ অফিসের স্থাপন নিয়ে শুরু থেকেই হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ইসলামী দল তীব্র বিরোধিতা ও প্রতিবাদ করেছে। একইভাবে বাংলাদেশের কিছু বামপন্থি দলও এ উদ্যোগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এখন বিএনপি ও এনসিপিও এতে যোগ দিয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ফিলিস্তিনের গাজার মানবাধিকার পরিস্থিতি বাংলাদেশ থেকে অনেক খারাপ হলেও সেখানে জাতিসংঘের কার্যক্রম লক্ষণীয় নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ঢাকায় মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপন ন্যায়সঙ্গত হয়নি এবং এতে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
গেছে। ফলে জুলাই শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ও সক্রিয় থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য গড়ে তুললেও গোপন ষড়যন্ত্র ও সহিংসতা আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। গোপালগঞ্জ ইস্যুতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে সালিশ কেন্দ্র।
এদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চলছে- সংকট নিরসন ও অনিশ্চয়তা ঘোচাতে সরকার আসলে নির্বাচনের দিকে কতটা এগোচ্ছে? রাজনৈতিক নেতৃত্ব মনে করে, নির্বাচনই সংকটের একমাত্র পথ। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস প্রায়ই বড় কোনো ঘটনায় রাজনৈতিক নেতাদের ডেকে ঐকমত্য চান, কিন্তু সে আহ্বানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনের রূপরেখা নেই বলে অভিযোগ করছেন তারা।
রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ, নির্বাচনের দাবি সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার তাতে সাড়া দিচ্ছে না। বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজনৈতিক সরকারের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা ছাড়া এই অনিশ্চয়তা দূর হবে না। সরকার পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের অদক্ষতা, অনভিজ্ঞতা নিয়ে সমালোচনা বেড়েছে সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমেও। তবে এর মধ্যেই সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে। ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠকের পরে বলা হয়েছিল সংস্কার কাজ শেষ হলে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা সম্ভব। নির্বাচন কমিশনও জানিয়েছে, চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপের ঘাটতি দেখছেন রাজনীতিবিদসহ বিশ্লেষকরা।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচন হবে কি না, এটা ড. ইউনূস এবং আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন বলে আমার মনে হয় না। নির্বাচন হতে গেলে যেই লক্ষণগুলো স্পষ্ট হওয়া দরকার, এর কোনোটাই হয়নি। এতদিন উনি ছোট সংস্কার, বড় সংস্কারের কথা বলেছেন, আজকে একটা নতুন শব্দ শুনলাম উনি বলেছেন- গভীর সংস্কার! এর পরে উনি আর কোন সংস্কারের কথা বলবেন, এটা উনার বিষয়। এটা আল্লাহ মালিক জানেন। নির্বাচন না হলে কী কী হতে পারে, সেটা আমরা গত ১১ মাসে দেখেছি। ১ তারিখে যদি শুল্ক না কমায়, অথবা কমালো, তারপরও এতগুলো বোয়িং বিমান কেনা, এত বেশি দাম দিয়ে গম-সয়াবিন কেনা- এগুলো সব দিয়েও যদি আমি চীন, ভারত, ভিয়েতনাম বা কম্বোডিয়ার সঙ্গে রেশিওতে টিকলাম না, তাহলে কী লাভ হবে! অনেক গার্মেন্ট ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। এই সমস্যাগুলো আরও বাড়বে।
ঢাকা, সাভার, ফেনী, খুলনা ও রংপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় এনসিপি ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি, পরিচয় ব্যবহার করে হয়রানি, এমনকি পুলিশের পরিচয়ে চাঁদা দাবি করার মতো ঘটনায় স্থানীয়রা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। কোথাও মব-হামলা, কোথাও গণপিটুনির পর মামলা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকারবিরোধী অবস্থানের বাইরে এনসিপির কোনো স্পষ্ট নীতি নেই। বরং দলটির বহু কর্মসূচিতে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘সরকার একটি দলকে পৃষ্ঠপোষকতা করে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ স্পষ্ট করছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় থেকে সরকারি সহযোগিতায় এদেশে বিগত সময়ে অনেক কিংস পার্টি গড়ে উঠেছিল, আবার সেগুলো মিশে গেছে। এই সরকার যে একটি দল বিশেষ করে এনসিপিকে (জাতীয় নাগরিক পার্টি) পৃষ্ঠপোষকতা করছে, সেটি শুধু গণঅধিকার পরিষদ নয়, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক মহল এবং নাগরিকদের মতামত। ’
দলের অভ্যন্তরে আদর্শহীনতা, দুর্নীতির প্রবণতা ও অস্থির নেতৃত্ব নিয়ে এনসিপির ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। জনমনে যে আস্থা আন্দোলনের শুরুর সময় তৈরি হয়েছিল, এক বছর না যেতেই তা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে মত দিচ্ছেন অনেকে।
একই সঙ্গে বিতর্কে রয়েছেন সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও। তার বিরুদ্ধে মুরাদনগরে প্রভাব বিস্তার, প্রতিপক্ষ দমন, বিরোধীদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি এবং নিজের আত্মীয়কে দলীয় নেতৃত্বে বসানোর অভিযোগ উঠেছে। তার বাবা বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধেও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতাদের পুনর্বাসন ও মব তৈরি করে প্রতিপক্ষ হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে।
সরকারের ভূমিকার সমালোচনায় রাজনৈতিক নেতারা
অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে দিন দিন সংশয় ও হতাশা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাদের ভাষ্য, এ সরকার যদি এখনই সতর্ক না হয় এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থেকে না সরে আসে, তবে নির্বাচন ও সংস্কার- দুই নিয়েই জনমনে আস্থাহীনতা তৈরি হবে।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘দিন যত যাচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নিয়ে হতাশা বাড়ছে। তারা যদি সতর্ক না হন এবং ক্রমান্বয়ে বিতর্কিত হতে থাকেন, তাহলে সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে সংশয় বাড়বে। ’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকার দৃশ্যমান চলছে, এটা কেউ কিন্তু বলছে না। যারা সরকারে আছেন, তারাও যে ঠিকমতো অফিস করছেন, তা মনে হয় না। ১৭ বছর ধরে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা এখনও চলমান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা আগের চেয়েও বেশি। ফলে নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, ততই অন্তর্বর্তী সরকার নানা প্রশ্নের মুখে পড়বে এবং দেশে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে। ’
অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নিয়ে আরও কড়া সমালোচনা করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি এ সরকারকে ‘মেরুদণ্ডহীন ও সবচেয়ে দুর্বল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
১/১১ সরকারের অতীত ছায়া কি ফিরছে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে?
২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার, যা পরে ‘এক-এগারো’ নামে পরিচিত হয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চরম অনাস্থা এবং সংঘাতময় পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রক্ষমতা নেয় এই অগণতান্ত্রিক শক্তি।
২০০৬ সালে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের ব্যর্থতা এবং নির্বাচন কমিশনের বিতর্কিত ভূমিকা ওই সংকটের জন্ম দেয়। তখন জনগণের সামনে কেবল নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশ্বাস থাকলেও সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার একপর্যায়ে নিজস্ব রাজনৈতিক প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করে। উদ্দেশ্য ছিল, দুই শীর্ষ রাজনৈতিক নেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন একটি নেতৃত্ব গড়ে তোলা।
তবে গণআন্দোলনের মুখে দুই বছরের মাথায় সরকার পিছু হটে। দুই নেত্রীকে মুক্তি দিয়ে নির্বাচন আয়োজন করতে বাধ্য হয় তারা। এরপর গণতন্ত্রের নামে ক্ষমতা হস্তান্তর ঘটলেও সেই দুঃসময়ের পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারীদের কেউই আইনের মুখোমুখি হননি। বরং বিচারের অভাবে প্রধান কুশীলবরা নির্বিঘ্নে দেশ ছেড়েছেন এবং তাদের কেউ কেউ আর দেশে ফেরেননি।
এ প্রেক্ষাপটেই বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও কি সেই পুরনো ‘এক-এগারো’ মডেলের পথে হাঁটছে? পরিবর্তনের নামে গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা, বিরোধী কণ্ঠের দমন, সংস্কারের নামে জনমতকে উপেক্ষা, এসব কি ২০০৭ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে? সংকটের এই মুহূর্তে অতীতের দায়হীনতার ফলাফল নিয়ে নতুন করে ভাবার তাগিদ দিচ্ছেন অনেকেই।