১৩ বছর প্রবাসে কঠোর পরিশ্রমে উপার্জিত প্রায় ৮০ লাখ টাকা স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছিলেন বগুড়ার এক প্রবাসী। স্বপ্ন ছিল দেশে ফিরে পরিবার নিয়ে সুখে দিন কাটাবেন। কিন্তু দেশে ফেরার আগমুহূর্তে সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায়-স্ত্রী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খালি করে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নের ধাওয়াস গ্রামে। ভুক্তভোগী প্রবাসীর নাম ইসরাফিল হোসেন। তিনি ওই গ্রামের ফরিদ হোসেনের ছেলে। ভুক্তভোগী এই ঘটনায় স্ত্রীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- স্ত্রী পারভিন আক্তার, তার বোন সাবিনা বেগম, ভাই আব্দুর রউফ ও বুলবুল হোসেন, দুলাভাই মিজানুর রহমান, ভাবী ছওদা বেগম ও বিউটি বেগম, বাবা একাব্বর হোসেন এবং পরকীয়া প্রেমিক হাসান আলী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৫-১৬ বছর আগে ইসরাফিল ও পারভিনের বিয়ে হয়। সংসারের উন্নতির জন্য বিয়ের তিন বছর পর স্ত্রীর পরামর্শে মালয়েশিয়া যান ইসরাফিল। প্রবাসে থেকে দীর্ঘ ১৩ বছরে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ৮০ লাখ টাকা পাঠান তিনি। কিন্তু দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। স্বামীর দেশে ফেরার খবর পেয়ে তালাক দিয়ে প্রেমিক হাসান আলীর হাত ধরে পালিয়ে যান।
প্রবাসী স্বামী ইসরাফিল হোসেন তালাকের কাগজ পাওয়ার পরও স্ত্রী পারভিন আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বিদেশ থেকে পাঠানো সব অর্থ ফেরত চাইতে থাকেন। কিন্তু স্ত্রীসহ অভিযুক্তরা বিভিন্ন অজুহাতে ‘আজ দিবো, কাল দিবো’ বলে সময়ক্ষেপণ করছে। কোনো সমাধান না পেয়ে দেশে ফিরে তিনি আইনের দ্বারস্থ হন।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ইসরাফিল সাংবাদিকদের জানান, প্রবাসে থাকাকালীন অবস্থায় আমার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে বিভিন্ন অজুহাতে আমাকে দেশে ফিরতে নিষেধ করতো। জোর করে দেশে আসতে চাইলে অন্যান্য অভিযুক্তদের প্ররোচনায় আমার স্ত্রী আমাকে তালাক দেন এবং পরকীয়া প্রেমিক হাসান আলীকে বিয়ে করেন। তবে বিদেশ থেকে পাঠানো তার নিকট গচ্ছিত টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। তাই আইনের দ্বারস্থ হয়েছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, খুব শিগগিরই তার টাকা ও তার টাকায় কেনা সব সম্পদ ফেরত দেয়া হবে। তবে আমাদের কিছু সময় দিতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।