গত ১১ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা চট্টগ্রাম বন্দরের ঈশান মিস্ত্রিরঘাট এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগে মিছিল থেকে পুলিশ কর্মকর্তাকে কোপানোর মূল অভিযুক্ত মো. শাকিলকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার (১৬ আগস্ট) দিবাগত রাত তিনটার দিকে পতেঙ্গার আউটার রিং-রোড এলাকা থেকে কনটেইনারবাহী গাড়িতে করে পালানোর সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় আরিফ হোসেন (৩২) নামের তার এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে গ্রেপ্তারকৃত শাকিলকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গিয়ে একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে দেশীয় এলজি, তিনটি কার্তুজ ও ১টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার শাকিল নগরের বন্দর থানাধীন দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরের দিদারুল আলমের ছেলে। তার সহযোগী আরিফ ভোলা জেলা সদরের বাসিন্দা।
বন্দর থানার ওসি আফতাব উদ্দিন জানান, ঘটনার দিন আসামি শাকিলের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়েছিল। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শাকিল তার সহযোগীদের সহায়তায় ধারালো কিরিচ দিয়ে এসআই আবু সাঈদ রানার মাথায়, গলায়, হাতে ও পেটে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে জড়িত অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, পুলিশের ওপর আক্রমণকারী মূল হোতা শাকিল কনটেইনারবাহী গাড়িতে করে ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পরে পতেঙ্গা সি-বিচে আউটার রিং রোড এলাকায় একটি কনটেইনারবাহী গাড়ি থেকে শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আরও জানান, পরে গ্রেপ্তারকৃত শাকিলের দেয়া তথ্যমতে ঈশান মিস্ত্রিরঘাটে খালপাড়ে একটি টিনশেড ঘর থেকে তার সহযোগী আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ঘরে লুকিয়ে রাখা এলজি, কার্তুজ ও কিরিচ জব্দ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১১ আগস্ট দিবাগত রাত কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়মী লীগের মিছিল থেকে বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ রানাকে কুপিয়ে জখম করে নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনায় বন্দর থানা পুলিশ বাদী হয়ে ৪০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি দিয়ে দুটি মামলা করে।
এদিকে, গ্রেপ্তারকৃত শাকিলের বিরুদ্ধে সিএমপি ও ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৯টি মামলা রয়েছে।