রাজধানীতে হঠাৎ ছড়িয়ে পড়া প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধানের গোপন সাক্ষাতের গুজবকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে অস্বাভাবিক উত্তেজনা। এর সঙ্গে জরুরি অবস্থা জারির সম্ভাবনা নিয়ে ফিসফাস যোগ হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরে সতর্কতা জোরদার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে সোমবার বিকেলে পাঠানো হয় বিশেষ সতর্কবার্তা— “সবাই এলার্ট থাকুন।” যদিও এটি নিয়মিত বার্তার মতো শোনালেও, ভেতরে বাড়তি চাপ অনুভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন থানার কর্মকর্তারা।
রমনা বিভাগের এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রবিবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ হন। এর সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে অস্থিরতা যোগ হওয়ায় টহল জোরদার এবং সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশ এসেছে।
গুলশান বিভাগের আরেক কর্মকর্তা বলেন, “অজানা এক শঙ্কা ঘনিয়ে আসছে। আকস্মিক মিছিল, হামলা বা নাশকতা ঠেকাতেই মূলত এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে কেন এতটা এলার্ট—তা স্পষ্ট করে আমাদেরও জানানো হয়নি।”
এদিকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, “এখন পর্যন্ত এগুলো নিছক গুজব। আমি এসম্বন্ধে কিছুই জানি না। গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।”
অন্যদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মো. তালিবুর রহমান বলেন, “আমরা সবসময়ই সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করি। এটাও নতুন কিছু নয়।”
তবুও রাজধানীর পরিবেশে রহস্য আর গুজবের ভার যেন আরও বেড়ে উঠছে। ধানমন্ডির ককটেল বিস্ফোরণ নিছক কাকতালীয় ঘটনা ছিল নাকি বড় কোনো ঘটনার পূর্বাভাস—সে প্রশ্নে অনিশ্চয়তা ঘনীভূত হচ্ছে।
সুএে: জনকণ্ঠ