চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বিএনপির এক কর্মীকে আওয়ামী লীগের কর্মী সাজিয়ে মামলায় জড়ানোর অভিযোগে পাওয়া গেছে। ফটিকছড়ি থানা পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
বিষয়টি বিগত কয়েক দিন ধরে ফেসবুকে ভাইরাল হলে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ দেখা যায়।
জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল বিকালে জায়গা জমিসংক্রান্ত পরোয়ানাভুক্ত আসামি নুরুল আলমকে (৪৫) নিজ বসতঘর থেকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশের একটি টিম।
নুরুল আলম উপজেলার কাঞ্চন নগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ওস্তাদ পাড়া এলাকার মৃত আলী আহমদের ছেলে। একদিন পর ১৩ এপ্রিল আটক নুরুল আলমকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়। তবে মামলা দেখানো হয় ২০২৪ সালের ৮ নভেম্বর স্থানীয় পাইন্দং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাদ্দামের করা শহীদ মিনারে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলার ঘটনার মামলায় অজ্ঞাতনামা আসাসি হিসেবে।
পরবর্তীতে এ ঘটনা স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে জানাজানি হলে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে আটক নুরুল আলমের বড় মেয়ে কলেজছাত্রী শান্তা মনি বলেন, ‘আমার বাবাকে আটকের পর রাতে খাবার দিতে আমি ও পরিবারের সদস্যরা থানায় যাই। সেখানে থানার এসআই রাজ্জাক আমার কাছে টাকা দাবি করেন। অন্যথায় রাজনৈতিক মামলা দিয়ে চালান করার ভয় দেখান। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় মিথ্যা একটি রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে আমার বাবাকে আদালতে পাঠিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে ১৬ এপ্রিল তিনি জায়গাসংক্রান্ত মামলায় কোর্ট থেকে জামিন পেলেও রাজনৈতিক মামলায় এখনো আটক রয়েছেন।’
কাঞ্চননগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হান্নান চৌধুরী জানান, নুরুল আলম কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির একজন সক্রিয় সদস্য। তাকে পুলিশ জায়গাসংক্রান্ত মামলায় গ্রেপ্তার করলেও আওয়ামী লীগের কর্মী সাজিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়ানো ঠিক হয়নি। নুরুল আলম যে বিএনপির কর্মী তা উল্লেখ করে আমরা ইতিমধ্যে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি।
আটক নুরুল আলম ও তার স্বজনদের কাছে টাকা দাবির বিষয়টি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন ফটিকছড়ি থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আহমদ বলেন, ‘নুরুল আলমের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে নতুন মামলায় অন্তর্ভুক্ত করেছি। যতটুকু জানি টাকা চাওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। তার পরও তদন্ত করে দেখা হবে।’