জাতীয় গ্রীড লাইন বিপর্যয় থেকে একের পর এক উৎপাদন কেন্দ্র ট্রিপ করায় শনিবার বিকেল ৫.৫০টায় বরিশালসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল অন্ধকারে নিমিজ্জিত হয়।
বরিশালের সামিট, ইউনাইটেড, পায়রা ও তালতলী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়াও ভোলার ২২৫ মেগওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং গোয়ালপাড়া ও ভেড়ামাড়া গ্রীড সাব-স্টেশনের সাথে যুক্ত বরিশাল ১৩২/৩৩ কেভী গ্রীড সাব-স্টেশন ও ছাড়াও ৪২৫/১৩২ ও ২২৫/১৩২ গ্রীড সাব-স্টেশনের সাথে একাধিক ৩৩/১১ কেভি সাব-স্টেশনের মাধ্যমে এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবারহ করা হয়ে থাকে।
কিন্তু শনিবার বিকেল ৫.৫০টায় আকষ্মিকভাবেই প্রথমে গোয়ালপাড়া পরে ভোড়ামাড়া ও একে একে সবগুলো গ্রীড লাইনই ট্রিপ করায় বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের গ্রীড লাইন সহ বিদ্যুৎ সঞ্চালন,বিতরন ও সরবারহ ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পরে।
তবে পিজিসিবি, পিডিবি এবং ওজোপাডিকো’র প্রকৌশলী ও কর্মীগন ‘অপারেশন ব্লাক আউট’ পদ্ধতিতে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে কয়েকটি ছোট উৎপাদন ইউনিট চালু করে সন্ধ্যা ৬.৫৭টায় বরিশাল ১৩২/৩৩ কেভি ও কলাডেমা গ্রীড সাব-স্টেশনগুলোতে স্টেশন লোড পৌছে দেয়। পরে বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের বড় শহরগুলোর সিমিত পরিসরে বিদ্যুৎ পৌছে দিতে শুরু করে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এরিপোর্টে লেখা পর্যন্ত সচল উৎপাদন কেন্দ্রগুলো থেকে পিজিসিবি বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে চাহিদার এক-চতুর্থাংশ বিদ্যুৎ সরবরহ করছিল । সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে গুমোট গরমের সাথে ঘুটঘুটে অন্ধকারে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসছে।