সরকারি হাসপাতালে সবার সামনে ঘটে গেল নারকীয় হত্যাকাণ্ড। ১৯ বছর বয়সী সন্ধ্যা চৌধুরী নামের এক তরুণীকে হাসপাতালে ঢুকে প্রকাশ্যে গলা কেটে হত্যা করেছে অভিষেক কষ্টি নামে এক যুবক। এই ঘটনার সময় হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মী নীরবে দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি। এদিকে এক চিকিৎসক সেই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ধারণ করেন নিজের মোবাইল ফোনে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সন্ধ্যা ওই দিন দুপুর ২টার দিকে এক বন্ধুর ভাবিকে দেখতে হাসপাতালে যান। তখন থেকেই অভিযুক্ত অভিষেক হাসপাতাল চত্বরে ঘোরাঘুরি করছিল। পরে ২২ নম্বর কক্ষের সামনে দু’জনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর হঠাৎ সন্ধ্যাকে মাটিতে ফেলে তার বুকের ওপর চড়ে বসে অভিষেক। আচমকা ছুরি বের করে তার গলায় একের পর এক আঘাত করতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলতে থাকে সেই বর্বর হামলা। পরে নিজেকেও ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করে অভিযুক্ত, তবে তাতে ব্যর্থ হয়ে বাইকে করে পালিয়ে যায়।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একেবারে কাছে। অথচ উপস্থিত চিকিৎসক, নার্স বা ওয়ার্ডবয়—কেউই হস্তক্ষেপ করেননি। কেউ ভয় পেয়ে হতভম্ব হয়ে যান, কেউ আবার এমনভাবে নিজের কাজ চালিয়ে যান যেন কিছুই ঘটেনি।
প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সন্ধ্যার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। এত সময়েও সন্ধ্যাকে চিকিৎসা দেয়া হয়নি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। তারা হাসপাতাল অবরোধ করে জবাবদিহি চান কেন প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়নি।
পরবর্তীতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কী কারণে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে—সে বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি পুলিশ বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।