তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার কাছে ৭৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। বুধবার (২ জুলাই) কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান করে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৩৫.৫ ওভারে ১৬৭ রানে গুঁটিয়ে যায় সফরকারীরা।
লঙ্কানদের দেয়া ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এক সময়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ১০০ রান। তাতে মনে হচ্ছিল, সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে টাইগাররা। তবে দলীয় শতকের পরেই হঠাৎ ছন্দ পতন। অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে মাত্র ৫ রানের মধ্যেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে মেহেদি হাসান মিরাজের দল।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের করুণ অবস্থা দেখে যে কারো মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে, আচ্ছা এর আগে এমন বাজে ব্যাটিং অন্য কোনো দল করেছে? এমন লজ্জাজনক ব্যাটিং আগে কাউকে করতে দেখা গেছে? এই প্রশ্নের সোজাসোজি উত্তর হলো- না। এমন বাজে ব্যাটিং আগে কখনো দেখা যায়নি। বাংলাদেশেরটাই সবচেয়ে বেশি বাজে।
ক্রিকেট ইতিহাসে ১ উইকেট হারানোর পর ৮ উইকেট পড়ার মাঝে কোনো দল এত কম রান করেনি। অর্থাৎ ৫ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারিয়ে লজ্জার বিশ্বরেকর্ডই গড়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি লজ্জার রেকর্ড থেকে মুক্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে।
এর আগে ১ উইকেট হারানোর পর ৮ উইকেট পতনের মাঝে সর্বনিম্ন ৮ রান করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০২০ সালে নেপালের বিপক্ষে ২৩ রানে ১ উইকেট থেকে ৩১ রানে ৮ উইকেট হারিয়েছিল তারা। সেই ম্যাচে নেপালের কাছে ৩৫ রানে অলআউট হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
তবে ইনিংসের যে কোনো পর্যায়ে সবচেয়ে কম রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারানোর রেকর্ড এটি নয়। ওয়ানডে ইতিহাসে এর চেয়ে বাজে ৭ উইকেটের ধস আছে মাত্র একটি। ২০০৮ সালে হারারেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে ১২৪/৩ থেকে অলআউট হয়েছিল ১২৭ রানে—শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছিল ৩ রানে।
বাংলাদেশের ইনিংসে এমন ভয়াবহ ব্যাটিং ধস এবারই প্রথম হলো না। ২০১৪ সালে মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে ১০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮ রানেই শেষ ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ৫০ থেকে ৫৮ রান অলআউট হয়ে ডিএল নিয়মে ৪৭ রানে হারে বাংলাদেশ। গত বছর শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ১১ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে ৯২ রানে হারে বাংলাদেশ।