গত সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখিতা লক্ষ্য করা গেছে। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার দিনেই বাজার ছিল চাঙা, ফলে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারমূল্য বেড়েছে ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা, যা এক সপ্তাহে কোম্পানিটির বাজারমূল্যে ১ হাজার ৬৯০ কোটি ৪৯ লাখ ২ হাজার টাকা যোগ করেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য দাঁড়ায় ৪৪ টাকা ১০ পয়সা, যেখানে আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ৩৩ টাকা ৬০ পয়সা।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে মোট ২৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, যা মোট লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানের ৬৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। বিপরীতে ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে, এবং ৩৬টির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ইসলামী ব্যাংক গত পাঁচ বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের জন্যও একই হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কোম্পানিটির মোট শেয়ারের সংখ্যা ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে রয়েছে মাত্র ০ দশমিক ১৮ শতাংশ। বাকি শেয়ারগুলোর মধ্যে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের, ৭৪ দশমিক ৮২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের, এবং ১৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের পর বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড, যার শেয়ারমূল্য বেড়েছে ২০ দশমিক ৭২ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রূপালী ব্যাংক, যার শেয়ারমূল্য বেড়েছে ২০ শতাংশ।
এছাড়া, সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার দিক থেকে শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় আরও ছিল- ইউনিয়ন ক্যাপিটাল ১৯.০৫ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংক ১৫.৩২ শতাংশ, মেঘনা পেট ১৪.৯৩ শতাংশ, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ১৪.৪২ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিড ১২.৮৭ শতাংশ, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স ১২.৫০ শতাংশ ও ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস ১২.১০ শতাংশ।