Tuesday, July 8, 2025

ব্রেকিং নিউজ: হঠাৎ যে কারণে ১৪৪ ধারা জারি!

আরও পড়ুন

দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় নবীগঞ্জ পৌর শহরে টায়ার জ্বালিয়ে আতঙ্ক তৈরির ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার বিকেলে

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা সদরে পূর্ববিরোধে জের ধরে আজ সোমবার বিকেলে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ১৯ জনকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে এ সংঘর্ষ থামাতে উপজেলা শহরে আজ সোমবার বিকেল থেকে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার বিকেল ৪টা থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত নবীগঞ্জ শহরে এ ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।

আরও পড়ুনঃ  হাসিনা-কাদেরসহ ১৫৫ জনের নামে মামলা, আসামি বিএনপি নেত্রীও

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুকে একে অপরের বিরুদ্ধে লেখালেখি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী আশায়েদ আলীকে গত ৪ জুলাই নবীগঞ্জ উপজেলার আনমুন এলাকায় অপর গণমাধ্যমকর্মী সেলিম তালুকদার ও তাঁর লোকজন মারধর করেন বলে অভিযোগ। এ সময় আনমুন গ্রামের লোকজন হামলাকারীদের মধ্যে থেকে ২ তরুণকে আটক করে পুলিশে দেন। পুলিশে দেওয়া এ দুই তরুণের বাড়ি উপজেলার তিমিরপুর গ্রামে। এতে তিমিরপুর গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠেন তাঁদের লোকজনকে আনমুন গ্রামের লোকজন ধরে পুলিশে দেওয়ায়। এ নিয়ে তিন দিন আগে ওই দুই গ্রামের লোকজন মারামারি করেন।

আরও পড়ুনঃ  কাল বিয়ে আজ এসেই আটক নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ মারামারি সূত্র ধরে সোমবার দুপুরে ঘোষণা দিয়ে আনমুন ও তিমিরপুর গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে থাকেন নিজ নিজ এলাকায়। একপর্যায়ে বিকেলে উপজেলা সদরে ওই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন ইটপাটকেল, বল্লম ধারালো অস্ত্রসহ নানা দেশি অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করেন। সংঘর্ষকালে উভয় পক্ষের প্রায় শতাধিক লোকজন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি দোকানপাট।

আরও পড়ুনঃ  মসজিদের কক্ষ থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার: ধর্ষণের পর হত্যার আশঙ্কা

এতে পুরো উপজেলা শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, তুচ্ছ বিষয় থেকে তিমিরপুর ও আনমুন গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ