ফরিদপুর জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়ক এসএম জাহিদ হোসেনের বাড়িতে রুমের তালা ভেঙে তছনছের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে শহরের আলিপুর এলাকার এসএম জাহিদের বাসার দেয়াল টপকে গেটসহ কয়েকটি রুমের তালা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা।
এ সময় তারা বাড়ির দোতলায় রুমের ভেতরে ঢুকে স্টিল আলমরি, ওয়ারড্রব ভেঙে তছনছ করে। এ সময় জাহিদ হোসেন এবং তার ছেলে বাড়িতে থাকলেও তাদের রুমের ভেতর থেকে শক্তভাবে লক থাকায় দুর্বৃত্তদের কেউ ভেতরে ঢুকতে পারেনি।
খবর পেয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় থানায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এসএম জাহিদ হোসেন জানান, সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে একদল দুষ্কৃতকারী তার বাসার চার-পাঁচটি গেটের তালা ভেঙে সুকৌশলে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ধারণা করেছিল জাহিদ হোসেন ও তার ছেলে একটি নির্দিষ্ট রুমে ঘুমিয়ে আছেন। সেখানে কাউকে না পেয়ে ওই রুমসহ অন্যান্য রুমে প্রবেশ করে ব্যাপক তছনছ চালায়। এমনকি একটি রুমের লক বাহির থেকে খুলে তল্লাশি চালায়। দুষ্কৃতকারীরা জাহিদ হোসেনের রুমের দরজা খোলার চেষ্টা করলেও ভেতর থেকে নিরাপদ লক লাগানো থাকায় তারা ব্যর্থ হয়। তবে বাড়ি থেকে কোনো টাকা ও স্বর্ণালংকার খোয়া যায়নি বলে জানান এসএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, চুরির উদ্দেশ্যে এলে তারা নিচতলায় আমার মায়ের রুম থেকে চুরি করতে পারত। তারা তেমন কিছু নেয়নি। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ সময় তার ছেলের রুমেও ভেতর থেকে ডবল সিটকিনি লক লাগানো ছিল। ঘটনার সময় ভোরের আজান ও আশপাশের মসজিদের মুসল্লিদের চলাচল শুরু হলে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়। সকালে জাহিদ হোসেন বাহিরে এসে দেখতে পান রুমের দরজার সামনে নতুন কাঁচি কাটার পড়ে আছে, সমস্ত গ্রিলের তালা ভাঙা, দরজাগুলো খোলা এবং ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। ঘটনাস্থলে দুই জোড়া স্যান্ডেলও ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদ উজ্জামানকে ফোন দিলে এসআই আলমগীরের নেতৃত্বে একটি পুলিশ টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিদর্শন করে। তারা ঘটনাস্থলের চিত্র ধারণ করে আলামত সংগ্রহ করে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি, তবে তদন্ত চলছে। এনসিপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ঘটনার পর থেকে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, এসএম জাহিদ হোসেন রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় এবং সম্প্রতি বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করছেন।