Wednesday, July 9, 2025

৫৪ বছর বিনা ভাড়ায় খেয়া পার, আরেক ‘মনু মিয়ার’ খোঁজ দিলেন খায়রুল বাসার

আরও পড়ুন

কিশোরগঞ্জের গোরখোদক মহৎপ্রাণ মনু মিয়ার পর এবার শরীয়তপুর জেলার নড়িয়ায় ৫৪ বছর বিনা ভাড়ায় খেয়া পার করা আরেক মহৎপ্রাণ রমেশ মাঝির খোঁজ দিলেন অভিনেতা খায়রুল বাসার।  

সম্প্রতি রমেশ মাঝিকে নিয়ে করা একটি ভিডিও প্রতিবেদন নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তিনি। ওই ভিডিও থেকে জানা যায়, উপজেলার ভজেশ্বর ইউনিয়নের কীর্তন নাশা নদীর লক্ষীপুর ঘাটে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খেয়া পার করেন তিনি। রোজ অসংখ্য যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দেন তিনি। কিন্তু বিনিময়ে কারও থেকে পারিশ্রমিক হিসেবে একটি পয়সাও নেন না। 

আরও পড়ুনঃ  বিড়াল ধরতে গিয়ে ১০ তলার ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের

আরও জানা যায়, শীত-গরম, রাত-দিন পরোয়া করেন না রমেশ মাঝি। যাত্রী থাকলে গভীর রাতেও বৈঠা ধরেন। এক স্থানীয়কে বলতে শোনা যায়, রাত ৩টায়ও যদি খেয়া পার করে দিতে বলা হয়। তৎক্ষণাৎ তিনি নৌকা নিয়ে তৈরি হন। এ ছাড়া মানুষের বিভিন্ন উপকার করে থাকেন।  

রমেশ মাঝি বলেন, ৫৪ বছর ধরে খেওয়া পার করছি। ১০০ বছর ধরে এই ঘাটে আমার বাপ-দাদা মানুষ পারাপার করেছেন। তারাও কিছু নেননি। স্থানীয়রা ভালোবেসে ধান-চাল দিয়েছেন। তা দিয়েই জীবন যাপন করেছেন। আমিও ফ্রি নিয়ে যাই সবাইকে। কারণ জনসেবা করলে আল্লাহ খুশি। এত আয় করে কী করব। মানুষের একটু আশীর্বাদ নিয়ে যেতে পারলেই খুশী।

আরও পড়ুনঃ  ভারতের কারাগারে ইলিয়াস আলী, দাবি বিএনপির নেতার

নিজের ফেসবুকে রমেশ মাঝির ভিডিও শেয়ার করে খায়রুল বাসার লিখেছেন, মনু কাকা চলে গেছেন! আমরা পরিচয় পেলাম আরেক মহৎ প্রাণ রমেশ মাঝির। আমরা যেন রমেশ মাঝির দুর্দিনে পাশে থাকি। রমেশ মাঝি যেন বুক ভরে নিশ্বাস নিয়ে বলতে পারেন আমার সব আছে, সবাই আমার মানুষ; আমার আর কি লাগবে! 

অভিনেতা খায়রুল বাসারের মন্তব্যের ঘরে অনেকেই অভিনেতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রমেশ মাঝির কথা প্রচার করায়। অনেকে রমেশ মাঝির প্রতি প্রদর্শন করেছেন সম্মান।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ