Friday, July 18, 2025

ইসরায়েলে সামরিক প্রকল্প নির্মাণে ১.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে যুক্তরাষ্ট্র

আরও পড়ুন

ইসরায়েলে বড় সামরিক নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন, যার মোট মূল্য ১.৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। নতুন প্রকাশিত নথি অনুসারে, তেল আবিবকে প্রদত্ত মার্কিন সহায়তার অংশ হিসেবে ওয়াশিংটন নিজেই এই প্রকল্পগুলোর তত্ত্বাবধায়ন করছে।

এই বিস্তৃত উদ্যোগের আওতায় তৈরি হচ্ছে বিমানঘাঁটির রানওয়ে, হেলিকপ্টার হ্যাঙ্গার, গোলাবারুদ সংরক্ষণাগার, কমান্ড সেন্টার এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর শায়েতেত ১৩ নৌ-কমান্ডো ইউনিটের জন্য একটি সদর দপ্তর। মার্কিন সেনা প্রকৌশল কোরের নথির বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ।

আরও পড়ুনঃ  ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ১০ বছর ধরে যে রণকৌশলে এগোচ্ছে ইরান

জানা গেছে, এই প্রকল্পগুলোর অর্থ সরবরাহ করা হচ্ছে বারাক ওবামার আমলে ২০১৬ সালে চূড়ান্ত হওয়া বার্ষিক ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ থেকে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এই সামরিক সহায়তা ইসরায়েলের সাম্প্রতিককালে নতুন সংযোজিত সিএইচ-৫৩কে হেভি-লিফ্ট হেলিকপ্টার এবং কেসি-৪৬ পেগাসাস ট্যাংকার বিমানের অবকাঠানো উন্নয়নের ব্যবহৃত হচ্ছে। এক পর্যায়ে ঠিকাদারদের জানানো হয়, ৯০০ মিলিয়ন ডলারের টেন্ডার ইসরায়েলের বর্ধিত এফ-১৫আইএ এবং এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বহরের সাথে সম্পর্কিত সুবিধাগুলোতেও বিনিয়োগ করা হবে।

আরও পড়ুনঃ  ভারতীয় নার্সকে যে কারণে ফাঁসিতে ঝোলাচ্ছে ইয়েমেন

সেনা প্রকৌশল কোরের নথি ও উপস্থাপনায় দেখা গেছে, বর্তমানে ২০টিরও বেশি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন অথবা ভবিষ্যতের জন্য নির্ধারিত। অনেক প্রকল্পই ছদ্মনামে পরিচালিত হচ্ছে, যেন প্রকৃত অবস্থান গোপন রাখা যায়। এই মুহূর্তে নির্মাণাধীন প্রকল্পগুলোর মোট মূল্য ২৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি এবং ভবিষ্যতের প্রকল্পগুলোর পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওয়াশিংটনের এই ব্যাপক অর্থনৈতিক বিনিয়োগ ইঙ্গিত দেয় যে, যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইসরায়েলে দীর্ঘমেয়াদি সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। যদিও দেশটির দাবি, এই সহায়তা উভয় দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে।

আরও পড়ুনঃ  উড্ডয়নের পরপরই বিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহী নিহত

সূত্র : মিডিল ইস্ট মনিটর

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ